নাটোরে আনসার সদস্যসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৮ বার।

নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া থেকে নারী আনসার সদস্য ও এক বৃদ্ধাসহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা সমকালকে বলেন, 'লালপুর উপজেলার চংধুপইল গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী আনসার সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন মঙ্গলবার রাতে পূজার ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার ঘরে লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এটি হত্যাকাণ্ড কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।' এ সময় নিহতের স্বামী সাহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

এদিকে, উপজেলার বৈদ্যনাথপুরের নিজ বাড়ি থেকে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। জাহিদুল আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া একই দিন বাগাতিপাড়া উপজেলার জয়ন্তিপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে রেহেনা নামে ষাটোর্ধ্ব এক নারীর গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রেহেনা বেগম উপজেলার জয়ন্তিপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার সাফাতুল্লাহর স্ত্রী।

নিহতের ছেলে রানা শেখ জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই এলাকায় থাকেন। অন্য দুই ভাই বন বিভাগে চাকরি সূত্রে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ও খুলনার সাতক্ষীরা সুন্দরবন এলাকায় থাকেন। তার মা ছোট ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়িতে একাই থাকতেন। পাশেই তিনি নিজের বাড়িতে বাস করেন। রাত ৩টার দিকে তিনি মায়ের বমি করার শব্দ পান। এর কিছুক্ষণ পর কাচ ভাঙার শব্দে তিনি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের বাড়ির দিকে যান। সেখানে গিয়ে মুখ বাঁধা দু'জনকে বাড়ির মূল গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখতে পান। এ সময় তিনি চোর ভেবে তাদের তাড়া করেও ধরতে না পেরে ফিরে আসেন। এর পর ঘরে ঢুকে বিছানার ওপরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন সমকালকে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।