বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১ ১৭:০৯ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১৬৯ বার।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে হার্টের রোগীদের জন্য নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম শুরু হতে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচজন রোগীকে প্রথমবার নতুন পদ্ধতি অর্থাৎ হাতের রক্তনালী ব্যবহার করে এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষামূলক এই এনজিওগ্রাম পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলস্টি ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু।

 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা মোঃ আশরাফ আলীকে (৫০) দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে এনজিও গ্রাম শুরু হয়। এর পর একে একে দুপুর পর্যন্ত আরও ৪জনের এনজিওগ্রাম করা হয়। তারা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। শজিমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সহকারি অধ্যাপক ডা. এস এম শহীদুল হক জানান, নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক এনজিওগ্রাম সফল হয়েছে। খুব শিগগিরই তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই পদ্ধতিতে এনজিও গ্রাম শুরু করা হবে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলস্টি ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু জানান, হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে পায়ের রক্তনালীর পরিবর্তে হাতের নালীর মাধ্যমে এনজিওগ্রাম এবং রিং পড়ানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। সেগুলোর অন্যতম হলোঃ রক্তক্ষরণ কম এবং হাসপাতালে স্বল্প সময় অবস্থান করতে হয়। যে কারণে চিকিৎসা খরচও কমে আসে।

 

ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু বলেন, ‘বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রাম করাটা আমার জন্য অন্যরকম এক অনুভূতি। কারণ আমি বগুড়ার মানুষ। তাছাড়া আমি এই কলেজের (শজিমেক) ছাত্র ছিলাম। ২০০২ সালে আমি এই কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছি। আর সে সময় আমার যারা শিক্ষক ছিলেন তাদের একজন শজিমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান এস এম শহীদুল হক স্যার আমাকে ডেকেছেন এবং এনজিওগ্রামের সময় তিনি পাশেও ছিলেন।’

 

বুধবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নতুন পদ্ধতিতে এনজিওগ্রামের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সেলিম হোসেন, শজিমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মোরশেদুল শামিম ওই হাসপাতালের একই বিভাগের অপর তিন সহকারি অধ্যাপক যথাক্রমে ডা. শাহাদত হোসেন, ডা. আবু বকর জামিল ও ডা. অলক চন্দ্র সরকার এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মোঃ ইউনুস আলী।