শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো দেশের জন্য আশীর্বাদ: খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২২ ১৮:৫৫ ।
প্রতিবেশী জেলা
পঠিত হয়েছে বার।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো দেশের জন্য আশির্বাদ। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে তিনি জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

 

মঙ্গলবার  বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে  আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

 

এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আছেন তখন তাকেও বার বার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে বিএনপি। কিন্তু দেশের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় কোন ষড়যন্ত্র তার কোন ক্ষতি করতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা আজকে আমাদের নেত্রী আওয়ামী লীগকে সুসংগষ্ঠিত করে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন বিরামহীন ভাবে। যার সুফল পাচ্ছে এদেশের মানুষ।

 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশের সর্বত্র উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। এধারা বজায় থাকলে দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষমতার যাওয়ার লোভে বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের প্রতিহত করা হবে জনগনকে সাথে নিয়ে। কারন দেশের মানুষ কোন ধ্বংষযঙ্গ চায়না। দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, শান্তিতে বসবাস করতে চায়। আর সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সাবেক সাংসদ শাহিন মনোয়ারা হক, সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, রফিকুল ইসলাম ও শাকিল আহমেদ বাদল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাষ মজুমদার গোপাল ও মেহেদী হাসান নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম তোতা, ইলিয়াস তুহিন রেজা, হাসানুল আল মামুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণ, যুগ্ম সম্পাদক শাহ পরান নয়নসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ র‌্যালি বের শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।