বগুড়ায় সোনার দোকানে মুহুর্তেই আসল সোনা হয়ে গেল নকল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২২ ১৯:০৯ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ২৮১ বার।

অজ্ঞাত দুই নারী, একজন বোরখা পরিহিত অন্যজন সাধারণ পোশাকে আসেন ব্রাইট জুয়েলার্সে। বিক্রি করতে চান দুটি পুরাতন স্বর্ণের চেইন আর  এক জোড়া কানের দুল। দোকানদার  পরীক্ষা করে দেখলেন সেগুলো স্বর্ণের। এরপর কিছুক্ষণ চলে দরকষাকষি। এর এক পর্যায়ে দু’পক্ষই একমত হন। দাম মিটে এক লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। বিক্রির টাকা নিয়ে দ্রুত চলেও গেলেন দুই নারী। এরপরই ঘটলো বিপত্তি। দেখা গেল অলঙ্কারগুলো স্বর্ণের নয়! ওগুলো নকল ।

 

 ঘটনাটি বগুড়ার শহরের নিউমার্কেটে ব্রাইট জুয়েলার্সে। প্রতারিত হওয়ার পর উপায় না দেখে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ব্রাইট জুয়েলার্সের মালিক আলহাজ্ব  মো. আবু ছালাত আমিন।  থানায় অবগত করার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও আশার আলো দেখছেন না তিনি।

গত রোববার (১৫ মে) বিকেলে তার নিজ দোকানেই প্রতারিত হন আবু ছালাত আমিন। পরে ঐদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

 

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে  জানা গেছে, অজ্ঞাত দুই নারী এক শিশুকে নিয়ে জুয়েলার্সে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল বিক্রি করতে আসেন। তাদের স্বর্ণাঙ্কারগুলো পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় ওগুলো স্বর্ণেরই। কিন্তু এক পর্যায়ে দুই নারী আসল স্বর্ণাঙ্কার সরিয়ে কৌশলে নকল অলঙ্কার বের করে বদল করেন। বিষয়টি বুঝতে পারেন নি জুয়েলার্স মালিক  । তিনি স্বর্ণাঙ্কারগুলো কিনে দুই নারীকে মূল্য হিসেবে এক লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেন। টাকা পেয়ে তারা চলে যান। পরবর্তীতে আবারো ওই অলঙ্কারগুলো পরীক্ষা করা হয়। তখনই আবু ছালাত বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।

 

জুয়েলার্সের মালিক আবু ছালাত আমিন বলেন, ‘ অজ্ঞাত ওই দুই নারী দুই ভরি সাত আনা তিন রতি পাঁচ পয়েন্টের দুটি স্বর্ণের চেইন ও তিন আনা পাঁচ রতির চার পয়েন্টের এক জোড়া কানের দুল বিক্রি করতে আসে আমার দোকানে। দাম মিটে ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। তবে দামাদামির এক পর্যায়ে বিক্রি করবে না বলে ওরা দোকান থেকে বের হয়েছিল। ওই সময় স্বর্ণের চেইন বদল করেন তারা। নকল স্বর্ণের অলঙ্কারগুলোও একই ছিল একারণে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওগুলো নকল।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিনই  (রোববার) সদর থানায় অভিযোগ করেছি। আজ ( বুধবার) পর্যন্ত ওই দুই নারীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও থেকে দুই নারীর ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে।’

 

বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, অজ্ঞাত ওই দুই নারীর ছবি পেয়েছি। এছাড়াও একটি মুঠোফোনের একটি নম্বরও পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই তাদের ধরা সম্ভব হবে।