পাঁচদিন পর সেই স্কুলে ক্লাস শুরু

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২২ ১২:১২ ।
শিক্ষাঙ্গন
পঠিত হয়েছে বার।

শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বন্ধ রয়েছে সাভারের আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে স্কুলে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের ভয় কাটিয়ে ক্লাসে ফেরাতে বাড়ানো হয়েছে টহল পুলিশ।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জিতু ও তার বাবা রিমান্ডে থাকলেও জিতুর অনুসারীরা এখনো ধরা পড়েনি। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মাঝে।

গতকাল শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় স্কুল খোলার কথা জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।

সভায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যাকারী বখাটে জিতুকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও নিরপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় এই শিক্ষক-শিক্ষার্থী বখাটেদের প্রভাবসহ নানা সমস্যা তুলে ধরেন।

এসময় পুলিশ সুপার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহলের ঘোষণা দেন।

এর আগে গতকাল মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ কাজ করে থাকি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মনে করছেন তাদের সঙ্গেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। আসলে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের একটি টহল টিম স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকবে। আমরা সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। কোনও ঘটনা দ্রুত জানানোর জন্য-৯৯৯ এর পাশাপাশি পুলিশ সুপার (এসপি) তার নিজের মোবাইল নম্বরও সবাইকে দিয়েছেন।’

পুলিশ সুপার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করতে চাই, এ ঘটনার ন্যায় বিচার হবে। যদি ইভটিজার থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনও জায়গায় এরকম কিছু থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশকে দ্রুত জানাতে হবে। প্রভাবশালীদের চাপে এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবের কোনও সুযোগ নেই। এ সুযোগ অতীতেও ছিল না। প্রধান আসামি জিতুর বয়স তার সঠিক জন্ম সনদ অনুযায়ী আমরা জমা দেবো। এখানে কোনও সন্দেহ নেই।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র জিতু। পরে স্থানীয়রা শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি মারা যান।