নওগাঁয় মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে জখম, আটক ৫

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২২ ১৮:০৭ ।
প্রতিবেশী জেলা
পঠিত হয়েছে ১১ বার।

মাত্র তিন ফুট জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মোজাফ্ফর হোসেন(৪৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোজাফফর হোসেন পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কালিকাপুর আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

 

পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে গ্রামবাসী শিক্ষক মোজাফফর হোসেনকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই নারীসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মোসলেম উদ্দিন (৫০), তাঁর স্ত্রী আলতা বিবি (৪৬), ছেলে আরিফ হোসেন (২৬) শরীফ হোসেন (২৪)  ও মেয়ে সুমী আক্তার (২০)।


গ্রামবাসীরা জানান বাড়ির সাথে লাগানো মাত্র তিন ফুট জমি নিয়ে প্রতিবেশী মোসলেম উদ্দীনের সাথে মোজাফ্ফর হোসেনের বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকরজন এরআগে শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী সখিনা বিবিকেও মারপিট করে। পরবর্তিতে দীর্ঘদিন রোগে সখিনা বিবি মারা যান। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মোজাফ্ফর হোসেন তার বড় ছেলে সজিবকে রাজশাহীতে রেখে লেখা পড়া করান এবং ছোট মেয়ে টুম্পাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।

 

মোজাফ্ফর হোসেনের স্বজন ইদ্রিস আলী জানান,ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে বাড়িতে কাজ করিয়ে নিচ্ছিলেন শিক্ষক মোজাফফর হোসন। এ সময় প্রতিবেশি মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন রামদা, লোহার রড, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে ও বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর জখম করে। বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।


প্রত্যক্ষদর্শী আমজাদ হোসেন বলেন, সোমবার সকালে শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তাঁর বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া দিয়ে গ্রামের আব্দুস সোবহানের বাড়িতে পাঁচজনকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন।


সর্বশেষ এ বিষয়ে জানতে সোমবার বিকেলে মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে সজিবের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় বাবার এখনো জ্ঞান ফিরেনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘন্টার পর বোঝা যাবে তার শারীরিক পরিস্থিতি কি।


এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটক ৫জনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।