বগুড়ায় ডাবল সেঞ্চুরি পার করল কাচা মরিচের দাম

আকতারুজ্জামান সোহাগ
প্রকাশ: ০৪ অগাস্ট ২০২২ ১৯:৩৩ ।
বিশেষ
পঠিত হয়েছে ১৪০ বার।

বগুড়ার রাজাবাজারে কাঁচা মরিচের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। গত তিন-চারদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরি ছাঁড়িয়েছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। 

 

ক্রেতারা বলছেন, দেশে কোনো ছোট-খাটো দুর্যোগ বা সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলেই সবজির দাম হুট করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে , বিক্রেতারা বলছেন, দেশে তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমের কারণে এলাকার প্রচুর কাঁচা মরিচের গাছ নষ্ট হয়েছে। এজন্য বাজারে মরিচ কম আসছে। তাই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে।

 

সরেজমিনে রাজাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি কাচামরিচ সর্বনিম্ন ২২০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। এছাড়া অধিক ঝালের কাচা মরিচ কেজিতে ২৪০ থেকে ২৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে আগের তুলনায় বাজারে কাচা মরিচের আমদানি অনেক কম। এছাড়া কাচা মরিচের লাগামহীন দাম শুনে অনেক ক্রেতকেই ফিরে যেতে দেখা গেছে। 

 

সরকারি চাকুরিজীবী বিউটি বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, দেশে খড়ার অজুহাতে শুধু কাঁচা মরিচ নয়, বিভিন্ন সবজির দামও বেড়েছে। দেশে কোনো ছোট-খাটো দুর্যোগ বা সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলেই সবজির দাম হুট করে বেড়ে যায়। এভাবে সব জিনিসের দাম দফায় দফায় বাড়লে বাজার করাই আমাদের কঠিন হয়ে পড়বে। 

 

হেলেনা বেগম নামের এক কাঁচা মরিচ ক্রেতা বলেন, আমি মূলত ৫০০ গ্রাম করে কাচা মরিচ কিনি। আজকেই এই প্রথম ২৫০ গ্রাম কাচা মরিচ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।  প্রতিনিয়ত এভাবে সবজির দাম বাড়লে আমরা কী খাব?

 

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, সবজির দাম তেমন না বাড়লেও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনে নিয়ে আসছি, তা থেকে কেজি প্রতি দুই-তিন টাকা লাভ করে বিক্রি করছি।

 

সেখানে আরেক কাঁচা মরিচ বিক্রেতা হেলাল মিয়া বলেন, দেশের মধ্যে তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম হওয়ার কারণে এলাকায় কাঁচা মরিচের গাছ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে আগের তুলনায় বেশি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।

 

বগুড়া রাজাবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, কাচা মরিচের উৎপাদন ও আমদানি দুটোই কমে গেছে। এছাড়া ডলারের দামের অস্থিরতা ও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে অনেক ব্যবসায়ীই কাচা মরিচ আমদানি করতে সাহস পাচ্ছে না। তবে কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ- পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় খরিপ মৌসুমে ৬৫৮ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অধিক বৃষ্টি ও খরার কারণে মরিচ গাছ নষ্ট হয়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে।