সম্ভাব্য চীনা হামলা প্রতিহত করতে তাইওয়ানের সামরিক মহড়া

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অগাস্ট ২০২২ ১৯:০৮ ।
আন্তর্জাতিক
পঠিত হয়েছে বার।

বাৎসরিক সামরিক মহড়ার আওতায় তাইওয়ান মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে৷ চীনের সামরিক কার্যকলাপের মাঝে এমন পদক্ষেপের ফলে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

চীনের জোরালো সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাঝে তাইওয়ানও পূর্বঘোষিত দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷ দেশের চারিদিকে চীনা সামরিক বাহিনীর মহড়া সত্ত্বেও তাইওয়ান সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি৷ বাৎসরিক ‘হান কুয়াং’ মহড়ার আওতায় ‘তিয়েন লেই ড্রিল’ নামে পরিচিত এই মহড়ায় সম্ভাব্য চীনা হামলা প্রতিহত করার নানা কৌশল পরখ করে দেখা হচ্ছে৷ বিশেষ করে চীনা বাহিনী যদি তাইওয়ানের উপকূলে এসে দেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করে, সেই পরিকল্পনা বানচাল করার সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাইয়ানের বাহিনী৷ সেই ‘অ্যান্টি ল্যান্ডিং এক্সারসাইজ’-এর আওতায় অন্যান্য কৌশলও নিতে চায় সে দেশ৷

গত জুলাই মাসেই জানানো হয়েছিল যে, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের সেনাবাহিনী এই মহড়া চালাবে৷ কিন্তু মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে রুষ্ট হয়ে চীন যে দ্বীপরাষ্ট্রের চারিদিকে লাগাতার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে যাবে, এমনটা তখন ধারণা করা যায়নি৷ চীন সেই সামরিক মহড়ার মেয়াদ আরও বাড়ানোর ঘোষণা করেছে৷ তাইওয়ানের সূত্র অনুযায়ী চীনা বাহিনীর কোনো যুদ্ধবিমান বা রণতরী তাইওয়ানের ১২ নটিকাল মাইলের মধ্যে প্রবেশ করেনি৷ তবে চীনা সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ভিডিওয় এক যুদ্ধবিমানের ককপিট থেকে তাইওয়ানের উপকূল ও পাহাড়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷ চীন এমনকি রাজধানী তাইপের উপর দিয়ে ব্যালেস্টিক মিসাইলও নিক্ষেপ করেছে৷ মঙ্গলবার চীনাবাহিনী সাবমেরিন প্রতিহত করার মহড়া সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করেছে৷

এমন উত্তেজনার মাঝে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সমান্তরাল মহড়া পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলছে৷ তাইওয়ানের টেলিভিশনের সূত্র অনুযায়ী দেশের দক্ষিণে তাইওয়ানের বাহিনীর মহড়ার কাছেই চীনা বাহিনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনের সামরিক মহড়ার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ সাংবাদিকদের বলেন, তাইওয়ান প্রণালীসহ গোটা অঞ্চলের বাস্তবতা পরিবর্তন করাই চীনের আসল মতলব৷ তার মতে, বিশাল মাত্রায় সামরিক মহড়া, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও সাইবার হামলার মাধ্যমে বেইজিং আসলে তাইওয়ানের উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ জোসেফ বলেন, পেলোসির সফরকে উছিলা হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে চীন৷ তাইওয়ানের প্রতি সংহতি দেখানোর জন্য তিনি আমেরিকাসহ পশ্চিমা সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হচ্ছে যে গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রের সামনে মাথা নত করবে না৷

তাইওয়ানের সামরিক মহড়ার ফলে সেই অঞ্চলে বেইজিং আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলে আমেরিকা মনে করছে না৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি দুশ্চিন্তায় না ভুগলেও চীনের তৎপরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তবে চীন এর বেশি কিছু করবে বলে বাইডেন মনে করছেন না। সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে