ধুনটে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে অপহরণের মামলা : ছাত্রলীগ নেতার দাবি 'বউ আমার কাছে'
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ
বগুড়ার ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপনের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত আবু সালেহ স্বপন ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
ওই কলেজছাত্রী ধুনট পৌর এলাকার সদরপাড়া গ্রামের এক ব্যবসায়ীর মেয়ে। তার বাবা আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ধুনট থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আবু সালেহ স্বপনসহ ৫জন কে আসামী করা হয়েছে। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার বিকেলের দিকে হাটাহাটির জন্য ওই কলেজ ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতা আবু সালেহ স্বপনের বিরুদ্ধে। এদিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হয়। শোকের মাস আগস্টে কলেজছাত্রী অপহরণ করার ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতার শাস্তি দাবি করেন অনেকে।
এরই মধ্যে 'আবু সালেহ স্বপন' নামের নিজস্ব আইডি থেকে সে আজ বিকাল ৩টা ২০মিনিটে এবিষয় নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। সেখানে ওই ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে 'অপহরণ না আমার বউ আমার কাছে, কাল সকালে দেখা হবে, একটু দুরে আছি এজন্য'।
এরপর ওই ছাত্রলীগ নেতার কয়েকজন অনুসারী কলেজছাত্রীর সঙ্গে পাশাপাশি অবস্থায় বসে থাকা আবু সালেহ স্বপনের একটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে। ছবিতে স্বপন গোলগলা গেঞ্জি ও মাথায় একটি টুপি পরে এবং কলেজছাত্রী হাসিমুখে হাতে টাকা নিয়ে পাশাপাশি বসে আছে। ছবিটি তাদের বিয়ের ছবি দাবি করে ফেসবুকে তাদের নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন পোস্টদাতারা।
কলেজছাত্রীর বাবা মামলায় দাবি করেছেন, আবু সালেহ স্বপন আগে থেকে তার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু প্রেমের আহবানে সারা না পেয়ে সে তার মেয়েকে অপহরন করেছে। সোমবার বিকেলের দিকে মেয়েটি বাড়ির অদূরে হাটাহাটি করতে যায়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা স্বপনসহ ৫জন ওই কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে সিএনজি যোগে নিয়ে যায়।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপনকে প্রধান করে ৫জনকে আসামী করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমরা প্রয়োজনীয় তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি।