‘রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে’ রূপ নিচ্ছে ইরানের আন্দোলন
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ইরানে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন তীব্র হচ্ছে।
গণমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ স্টেশনে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তাছাড়া অনেক স্থানে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এ আন্দোলন এখন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে।
ইরানের গণমাধ্যমগুলো বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মাসাদে প্যারামিলিটারি বাহিনী বাসিজের একজন সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তাছাড়া বুধবার আন্দোলনকারীদের ছোড়া গুলিতে আহত আরেকজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে এ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থা হেঙগো বুধবার জানায়, এখন পর্যন্ত ১২ জন সাধারণ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। যদিও এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
এদিকে ইরানের রাজনীতিবীদ ও কর্মকর্তারা এখন ভয় পাচ্ছেন, ইরানে ২০১৯ সালের পর এ আন্দোলন বড় আন্দোলনে রূপ নেবে।
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০১৯ সালে ইরান এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এতে ১ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যান ২২ বছর বয়সী মাসা আমিনি। ঠিকমতো হিজাব না পরায় তাকে আটক করে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন মাসা আমিনি। তবে পুলিশের দাবি, আমিনির মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকের মাধ্যমে।