অর্থ আত্মসাতের মামলায়

বগুড়ায় গ্রেফতার দেখানো হলো মান্নান আকন্দকে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৪৭ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৩৪২ বার।

বগুড়ায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী  আব্দুল মান্নান আকন্দকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিক এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্টেডিয়াম ফাঁড়ির ইনচার্জ হরিদাস মন্ডল। 

এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন শফিকুল ইসলাম।  

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকার অ্যাডওয়ার্ড পার্ক সংলগ্ন রেলওয়ের ৪ দশমিক ৪৮ একর জায়গার ওপর বগুড়া রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে লিজ গ্রহণ করা হয়। সেখানে নির্মাণ করা মার্কেটের ঠিকাদার আব্দুল মান্নান আকন্দ। তিনি বেআইনি ও প্রতারণামূলক ভাবে ৩ ব্যক্তির কাছে দোকান বরাদ্দের নামে ৩ লাখ টাকা এবং মুদ্রণপল্লী বগুড়ার পক্ষে আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে দোকান ঘর পজিশন হস্তান্তরের জন্য ১৭ কোটি টাকা গ্রহণ করে।

 

আব্দুল মান্নান আকন্দ বগুড়া ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটিডের মার্কেটটির নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। মার্কেটের দোকানের পজিশন হস্তান্তরের কোন ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্বাস ভঙ্গ ও গোপনে প্রতারণামূলক ভাবে ৩ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ করে ৩ লাখ এবং অপর ১ জনের কাছ থেকে ১৭ কোটি টাকা নিয়েছেন। এছাড়াও আব্দুল মান্নান আকন্দ আরও অনেকের সঙ্গে ভুয়া ও অবৈধ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলায় আরও বলা হয়, আব্দুল মান্নান আকন্দের প্রতারণার কথা জানতে পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় বগুড়া রেল স্টেশনের সামনে মান্নান আকন্দকে দেখা পেয়ে তার অপকর্মের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মামলার ১নং সাক্ষী আবু জাফর মো. মাহমুদুন্নবী রাসেলকে বলে তোর ভাতিজাদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ দোকান ভেঙে দিয়েছে। তোদের সমিতিকে লাভের টাকা তো দিবই না বরং তুই এখন ৪ কোটি টাকা চাঁদা দিবি, না হলে আমি তোদেরকে দেখে নিব।

এর আগে, এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের মার্কেটের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করার সময় রায়হান আলী নামে রেলওয়ের এক কর্মচারীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, চুরি ও মারপিটের অভিযোগে আহত রায়হানের বাবা হায়দার আলী সরকার ওই মার্কেট নির্মাণের ঠিকাদার আব্দুল মান্নান আকন্দকে প্রধান আসামী করে ৫১জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা( মামলা নং- ৮৯৪/২২) দায়ের করেন। সেই মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে জামিন নিতে বুধবার সকালে সদর আমলী আদালতে হাজির হন আব্দুল মান্নান আকন্দ। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতে আব্দুল মান্নান আকন্দের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।