জেলে বসেই পেলেন শান্তিতে নোবেল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ২১:২৪ ।
শিল্প ও সাহিত্য
পঠিত হয়েছে বার।

শান্তিতে এ বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছে বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াতস্কি এবং যুদ্ধরত দুই দেশে ইউক্রেন-রাশিয়ার দুই মানবাধিকার সংগঠন।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এই পুরস্কার ঘোষণা করে।


অ্যালেস বিয়ালিয়াতস্কি বেলারুশের একজন খ্যাতনামা মানবাধিকারকর্মী। বয়স ৬০ বছর। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি। কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে কারাগারেই রয়েছেন তিনি। কারাবন্দি অবস্থায় তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হলো। খবর- বিবিসি


প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলারুশীয় সাহিত্যে পণ্ডিত অ্যালেস বিয়ালিয়াতস্কি ১৯৮৪ সালে হোমিয়েল স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর ১৯৮৫-৮৬ সাল পর্যন্ত দুই বছরের জন্য বেলারুশ সেনাবাহিনীতে সামরিক যানচালক হিসেবে কাজ করেন।


সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সোভিয়েতবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বেলারুশ।

 

স্বাধীনতার কয়েক বছর পর বেলারুশে ভিয়াসনা হিউম্যান রাইটস সেন্টার নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠা অ্যালেস বিয়ালিয়াতস্কি। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। বেলারুশের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ওপর দেশটির একনায়ক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে এর প্রতিষ্ঠা।

ভিয়াসনা শব্দের অর্থ বসন্ত। সংগঠন হিসেবে ভিয়াসনা হিউম্যান রাইটস সেন্টার মূলত কারাবন্দি বিক্ষোভকারী ও তাদের পরিবারগুলোকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করত। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন নথিভুক্ত করাও ছিল এর অন্যতম কাজ।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে দুবার গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড ভোগ করেছেন বিয়ালিয়াতস্কি। প্রথমবার ২০১১ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। এই অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৪ সালে তিনি কারামুক্তি পান।

এরপর বেলারুশে কারচুপির নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে ২০২০ সালে দ্বিতীয়বার আটক করা হয় তাকে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থেকে যান লুকাশেঙ্কো। এবারও তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়।