বগুড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ও বাজে কথার প্রতিবাদ করায় খুন হন খাজা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২ ২৩:১৮ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ১২২ বার।

বগুড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ও বাজে কথার প্রতিবাদ করার  জেরে খুন হন  জামাল উদ্দিন খাজা। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোজাফফর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ(ডিবি)। শনিবার দুপুরে বগুড়া সদর এবং শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল উদ্ধার করেছে ডিবি। 

 

গ্রেফতারকৃত মোজাফফর শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট এলাকার মৃত অছিমুদ্দীনের ছেলে। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ। 

 

শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বৃন্দাবন পূর্বপাড়া এলাকায় শোবার কক্ষ থেকে জামাল উদ্দিন খাজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত খাজা ওই এলাকার মৃত আমির আলী খলিফার ছেলে। তিনি  ফুয়াং নামের এক বেকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

 

ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, দুই বছর আগে জামালের স্ত্রীর সাথে মোজাফফরের সাথে সম্পর্ক ছিল। খাজার স্ত্রী এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করলেও মোজাফফর বারবার তাকে বিয়ের চাপ দিতে থাকে। এদিকে গত ২৫ নভেম্বর খাজার বোন আম্বিয়া মারা গেলে খাজা স্ত্রী  ও সন্তানসহ শাজাহানপুর উপজেলার ফুলদিঘী এলাকায় যায়। সেখানে খাজার পরিবারের অন্যান্য লোকজনসহ  মোজাফফরও উপস্থিত ছিল। শুক্রবার(২৫ নভেম্বর) ফুলদিঘী থেকে খাজার স্ত্রী তার ছেলেকে রিমনকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদমোহা হরিপুর খেরুয়াপাড়া যায় এবং খাজা সন্ধ্যার আগে নিজ বাড়িতে যায়। খাজার স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মোজাফফর ওইদিন রাত পৌণে ৯টার দিকে খাজার বাড়িতে যায়।  সেখানে যেয়ে  খাজাকে উত্তেজিত করার জন্য তার স্ত্রীর  এর সম্পর্কে নানা ধরণের অশালীন ও বাজে কথাবার্তা বলতে থাকে। এতে  খাজার সাথে মোজাফফরের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মোজাফফর ঘরের মধ্যে থাকা লোহার শাবল দিয়ে খাজার  মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে। এতে খাজা মারা যায়। পরে মেঝেতে লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে শয়নকক্ষের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেওয়াল ডিঙিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।

 

 

পরে শনিবার সকালে খাজার ছেলে  জেমস রিমন তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসে দরজায় ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোন শব্দ পায় না। পরে ছেলে বাড়ীর প্রাচীর ডিঙিয়ে ভেতরে গিয়ে দরজা খুলে খাজার মরদেহ দেখতে পায়। 

 

 ওসি সাইহান বলেন, গ্রেফতারকৃত মোজাফফরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্রহা প্রক্রিয়াধীন।