ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে: ওবায়দুল কাদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৮:২০ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে বার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাই না। ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। ৭৫ এর সেই বিশ্বাসঘাতকরা। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরও ঐক্যবন্ধ, আরও সংঘঠিত, আরও সুশৃঙ্খল করতে হবে। নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দুর্গ ছিল। এখন এটাকে শেখ হাসিনার শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করতে হবে। খবর সমকাল অনলাইন 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি একদিনের ব্যাপার নয়। এক বছর, কয়েক বছরেরও ব্যাপার নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ এতদিনেও স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ আছে। মহান আল্লাহ পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়েছিলেন। আর মুক্তির জন্য জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। একজন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে। বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে একদিন তাদেরও দণ্ড কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।

বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবরা আজকে অপপ্রচার করছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে আমরা কাজ করে যাব। আমরা মানুষের পাশে থাকব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীর জাফর। পলাশীর সেনাপতি লতিফ আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনি চক্র তাঁকে হত্যার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম। বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানাকে এতিম করেছে যে বুলেট। সে বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতি। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস কোনো  স্বৈরাচারী প্রভুর রক্ত চক্ষু পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবে না।

নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ,আওয়ামী লীগের কৃৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল প্রমুখ।