বগুড়া উপনির্বাচন

ভোটের ফল বর্জন হিরো আলমের, যাবেন আদালতে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৫৮ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ৪৮ বার।

ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ করে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনের ফল বর্জন করেছেন হিরো আলম।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার এরুলিয়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়নি, আমি এ ফলাফল মানি না। আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। শীঘ্রই ফল বাতিল চেয়ে আদালতে রিট  করা হবে।'

হিরো আলম বলেন, 'নির্বাচনের পরিবেশ ভাল ছিল। কিন্তু নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হলো তখনই তাদের সন্দেহজনক লেগেছে। কারণ তারা একটানা ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ধাপে ধাপে ৩৯টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেন। পরে বাকি ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল আলাদাভাবে ঘোষণা না করে একবারে মোট ফলাফল ঘোষণা করেছে। এতে ওই দশ কেন্দ্রের ফলাফল আলাদা আলাদা করে ঘোষণা করা কেন হলো? এখানেই কারচুপি  করা হয়েছে। এমনকি আমাদের এজেন্টদের কাছেও ফলাফলের কোন কপি দেয়া হয়নি।'

হিরো আলম আরও বলেন, 'আজকে সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল হিরো আলমের দিকে। আমার গর্বে বুক ভরে গেছে। আমার মনে হয়েছে আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। আমি সবার যে  ভালবাসা পেয়েছি তা কখনও ভুলবো না। আমাকে হারানো হয়েছে। কিছু শিক্ষিত মানুষ চায়নি হিরো আলম এমপি হোক। কারণ আমি জিতলে  সরকার এবং তাদের  সম্মান চলে যাবে। এমনকি হিরো আলমের মূর্খকে তারা স্যার  বলে ডাকতে হবে এই ভয়েই আমাকে তারা ভোটে পাশ করতে দেয়নি।'

২০২৪ সালে নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, 'উপনির্বাচনের মত পরিবেশ থাকলে ভোটে দাড়ানোর ইচ্ছা থাকবে না। আমি চাই ভোট সুষ্ঠু হোক। যাতে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতাতে পারে।'

এদিকে, বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের একতারা প্রতীকে পড়েছে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।

রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম ওই আসনের মোট ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে ওই আসনে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে মোট ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ওই আসনে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোট দিয়েছেন। যা শতকরায় ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।