বাবাকে হত্যা : বড় মেয়ের ফাঁসি, ছোট মেয়ে-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩ ১৮:৩৭ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১৪ বার।

ফরিদপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে বড় মেয়ে নিলুফা আক্তারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাহিদা পারভিন ও ছোট মেয়ে হাফিজা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

একই সঙ্গে নিলুফাকে ২০ হাজার টাকা এবং সাহিদা পারভীন ও হাফিজা বেগমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে সাহিদা ও হাফিজাকে আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর দেড়টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল।

নিহতের নাম হাফেজ আবুল বাশার। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খোয়াড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আসামিরা তার দুই মেয়ে ও প্রথম স্ত্রী।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওয়াব আলী মৃধা এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথির বরাতে তিনি জানান, হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী সাহিদা পারভীনের সঙ্গে ফরিদপুর শহরের আলীপুরের প্রামানিক পাড়ায় ভাড়া থাকতেন। পরে আবুল বাশার দ্বিতীয় বিয়ে করায় সাহিদার সঙ্গে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। পরে আবুল বাশার তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে গ্রামের বাড়ি সালথায় বাস করে। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন সাহিদা ও তার মেয়েরা।

২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আবুল বাশার সাহিদার আলীপুরের বাসায় আসেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুয়ায়ী স্ত্রী সাহিদা পারভীন, বড় মেয়ে নিলুফা আক্তার ও  ছোট মেয়ে হাফিজা বেগম আবুল বাশারকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় আবুল বাশারের ভাই লোকমান ফকির ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, গ্রেপ্তাররা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।