মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না : পরীমণি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩৬ ।
বিনোদন
পঠিত হয়েছে ১০ বার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়ান তারকারা। তারপর সেই বিবাদের সুত্র ধরে পাল্টাপাল্টি জবাব দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারকারা। গত ২১ মার্চ ছেলে বীরের জন্মদিনে একটি আবেগঘন বার্তা দেন মা বুবলী।

এরপরই ফেসবুকে একটি রহস্যঘেরা পোস্ট দেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আর এতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। স্ট্যাটাস, পাল্টা স্ট্যাটাস নিয়ে রীতিমতো আলোচনায় ছিলেন এই দুই নায়িকা। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বুবলী-পরীর এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ চর্চা হয়ে আসছে নেটদুনিয়ায়।

এর মাঝেই হঠাৎ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নিজের ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন পরীমণি। অনেকের ধারণা— বুবলী-পরীর মধ্যকার ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের প্রেক্ষাপট ধরেই এই পোস্টটি দিয়েছেন তিনি।

ওই স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন—‘যে বা যারা আমার শক্রর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, আজ থেকে কোনো দিন আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না। অনেক তো হলো।’

পরীমণির এই স্ট্যাটাস নিয়ে নেটিজেনরা মনে করছেন, একজন পরিচালককে ইঙ্গিত করেই মূলত স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সেই নির্মাতাকে পরী ও বুবলী দুজনের সঙ্গেই প্রায় সময় দেখা যায়।

দুই নায়িকার ভার্চুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরের কয়েক দিনও বিভিন্ন স্থানে বুবলীর সঙ্গে দেখা গেছে ওই নির্মাতাকে। আর এতেই খেপেছেন পরীমণি। সেই কারণেই নাকি এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে খোলসা করেননি, করতে চানওনি পরীমণি।

এ প্রসঙ্গে দেশের এক গণমাধ্যমে পরীমণি বলেন, এই শত্রু পরিচালকও হতে পারে, আবার ভাই-বন্ধুও হতে পারে। বলব না। তবে যার বোঝা সে এতক্ষণে বুঝে গেছেন। অন্যদের না বুঝলেও চলবে।

চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমার সঙ্গে যার ঝামেলা, যে আমার শত্রু, তার সঙ্গে ঘটনার পরের সারা দিনই ওই মানুষটি ছিলেন। আহারে, আমার শত্রুর সঙ্গে তিনি হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাকে যেভাবে তিনি ভালোবাসা দেখান, এখন মনে হচ্ছে, এ ভালোবাসা পুরোপুরি ভুয়া। আমিও তাকে সরল মনে ভালোবেসেছিলাম, বিশ্বাস করেছিলাম, নানা সময়ে পাশেও দাঁড়িয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, এসব আমার জন্য বৃথা, ভীষণ কষ্ট পেয়েছি আমি।

যাকে আপনি শত্রু ভেবে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন, তিনি এসে ক্ষমা চাইলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, অনেক হয়েছে আর নয়। আমি জানি সে হয়তো আসবে। কিন্তু আসলেও তাকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এখন আমি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না। এ ধরনের মানুষের জায়গা আমার কাছে আর কখনোই হবে না। এ ধরনের বেইমানির জন্য আমি সংসার পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি। আর কী জানতে চান?