দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটাল ছাত্রলীগ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪৩ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ৩১ বার।

পৃথক ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ফেনীর সোনাগাজীর নবাবপুরে দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত সাইফুল ইসলাম নবাবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক, রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল কাশেম মাঝির ছেলে। অপর আহত শেখ রাসেল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোবারক ঘোনা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। এসব ঘটনায় তারা সোনাগাজী মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে নবাবপুর ইউনিয়নের স্লুইজ গেইট এলাকায় তরমুজ কিনতে যান। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহাদ, তার সহযোগী মো. ইমন, মো. জিলানী, মো. শাওন ও আনিসুল হকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সাইফুলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। কাঠ দিয়ে পিটিয়ে, কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। 

অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ রাসেল গত ১১ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে সওদা করতে নবাবপুর বাজারে যান। তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী মো. শাওন, মো. জিলানী ও আনিসুল হকসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে, লাথি, কিল ও ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। এ ঘটনায় শেখ রাসেল সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাইফুলের সঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে দলীয় ছোট ভাইদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। সন্ধ্যায় মীমাংসা করে নবাবপুর বাজারে তার হাতে এক হাজার টাকা দিয়েছি। কেন সে আবার অভিযোগ করেছেন সেটা জানা নেই। শেখ রাসেলের সঙ্গে ১১ এপ্রিলের ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম না।

ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব বলেন, ঘটনাগুলো নবাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আমাকে জানিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তারপরও দলীয় বিষয় হিসেবে দলীয়ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই খায়ের উলাহ পৃথক দুটি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসআই মাহবুব আলম সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।