স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর নওগাঁয় তুলে ধরা হলো শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ দুর্দশার চিত্র

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৬ ।
প্রতিবেশী জেলা
পঠিত হয়েছে বার।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর প্রথমবারের মতো নওগাঁয় তুলে ধরা হলো ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁর রোড হয়ে ভারতের বালুরঘাট গমনকারী শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ দুর্দশার চিত্র। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর আয়োজন করেন।  আর এর মধ্য দিয়ে আজকের প্রজন্ম জানতে পারলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তি কামি মানুষের দুর্ভোগ দুর্দশার কথা। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শহরের তাজের মোড় থেকে অবিকল শরণার্থীর বেশে প্রতিকী পদযাত্রাটি নিয়ে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষ একাত্তরের ভারতের বালুরঘাট গমনকারী শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ দুর্দশার চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।

সংগঠনটির সভাপতি এ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারী জানান- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার, নিপীড়ন, গণহত্যা থেকে বাচঁতে যুদ্ধের শুরু থেকে এপ্রিল মাসের প্রথমভাগে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক হয়ে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেয়। সেসময় চলার পথে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ দুর্দশার স্মরণ করতে এবং সেসব চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন।

নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান বলেন মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীদের দুর্ভোগ দুর্দশার এই চিত্র তুলে ধরে আজকের প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে একুশে পরিষধ একটি মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি আয়োজকদের ভূয়শী প্রশংসা করেন। 

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী নাইস পারভিন বলেন,শরণার্থীদের প্রতীকি পদযাত্রায় অংশ নিতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। 

সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনে উজ্জীবিত হয়ে জেলায় একের পর এক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তি কামী মানুষদের নির্বিচারের চেয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় সেসব গণহত্যার বদ্ধভূমি গুলো চিহ্নিত করা শুরু করেছেন।