বগুড়ায় সরকারি কর্মচারীকে মারপিট, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

 শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪ ১৯:৪৫ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

বগুড়ার শিবগঞ্জে অফিস চলাকালীন সরকারি কর্মচারীকে গালিগালাজ ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে আবু জাফর মন্ডল নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের নামে শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মন্ডল,তাঁর ভাই নাসের আলী (৪৭) ও দারিদহ গাছুয়া পাড়া গ্রামের আসাদুর ইসলাম(৪০)।

শনিবার শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জিল্লুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগকারী বগুড়া সদর উপজেলার মালতি নগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার(৫৭) জানান, আমি শিবগঞ্জের ময়দানহাট্টা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী পদে কর্মরত। গত রবিবার চেয়ারম্যানের ভাই নাসের আলী আমার কাছে জমি সংক্রান্ত কিছু কাজ নিয়ে আসে। আমি গুরুত্ব সহকারে কাজের ফাঁকে দুই দিন যাবৎ তাঁর কাজ করতে থাকি। মঙ্গলবার অফিসে অন্য কোন সহকারী না থাকায় কাজের চাপ ছিলো। তাই, নাসের আলীর কাজ করতে একটু দেরি হচ্ছিল। দুপুরে নাসের আলী এসে কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আমি আর একটু সময় চেয়ে নেই। এর কয়েক মিনিট পরই ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মন্ডল লোকজন নিয়ে ভূমি অফিসে আসেন। এসময় তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লোকজন আমাকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় আসাদুল ইসলাম (৪০) নামের চেয়ারম্যানের এক লোক আমার বুকে পিঠে ঘুষি মারলে আমি মারাত্বক আঘাত পাই। আমি কান্নাকাটি করেও তাঁদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। চেয়ারম্যানের ভাই নাসের আলীও আমাকে গালাগালি করে। তাঁরা যাবার সময় বলেছে, "এটা চেয়ারম্যানের জমির কাজ, সবার আগে সম্পন্ন করে পরিষদের অফিসে দিয়ে আসবি।"

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ময়দান হাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি। পরে তাঁর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জিল্লুর রহমান জানান, এঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় চেয়ারম্যান আবুজাফরসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান বলেন, অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারি কর্মচারীর গায়ে হাত তোলা চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।