বগুড়ায় ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ প্রতিরক্ষার কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:৪৫ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১৮ বার।

বগুড়ায় ৮৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদী ভাঙনরোধে ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ প্রতিরক্ষার কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর এলাকা থেকে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের সহরাবাড়ি পর্যন্ত ভাঙনরোধে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

 

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার শতশত গ্রাম বিলীন হচ্ছে যমুনায়। এসব উপজেলায় আর যেন যমুনার করালগ্রাসে ভাঙতে না পারে, সেজন্য ৮৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ প্রতিরক্ষার কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা, বানিয়াজান স্পার ও ধুনটের সহরাবাড়িঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান এই ঘোষণা দেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুরসহ অন্যান্য এলাকায় নদী ভাঙনরোধে সাড়ে ৬ কিলোমিটার প্রকল্পসহ ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ প্রতিরক্ষার কাজ করা হবে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে ৪৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ১৯ কিলোমিটার বাঁধ প্রতিরক্ষার কাজ সমাপ্তির পথে। বাকি অংশের কাজ শিগগরই করা হবে।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপাউবো বগুড়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির প্রমুখ।

 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, সারিয়াকান্দির ইছামারা, হাটশেরপুর, কর্নীবাড়ী, সোনাতলার সুজাতপুর এবং ধুনটের সহরাবাড়ীতে নদী ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ইছামারায় ৫০০ মিটার, হাটশেরপুরে ৩০০ মিটার এবং কর্নীবাড়ীতে ১০০ মিটার এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে। পানি বৃদ্ধি এবং নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে সারিয়াকান্দির কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি, চালুয়াবাড়ির চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। তবে দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনো কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি। ছয়টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের পরও ইছামারা অংশে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।