মমতা ব্যানার্জিকে সামাজিক বয়কটের ডাক রাজ্যপালের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫২ ।
আন্তর্জাতিক
পঠিত হয়েছে বার।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সামাজিক বয়কট করলেন রাজ্যটির রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস। আরজিকর ইস্যুতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তাকে 'বাংলার লেডি ম্যাকবেথ' হিসেবে তুলনা করেন রাজ্যপাল। আনন্দ বোস বলেন, কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের নারী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আর কোথাও কোন সরকারি অনুষ্ঠানে স্টেজ শেয়ার করবো না। 

 

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়াটা একটা পরিহাস। পশ্চিমবঙ্গের লেডি ম্যাকবেথ হুগলি নদীর পানি ধরে রেখেছেন কিন্তু সেই পানি দিয়ে কলঙ্কিত হাত পরিষ্কার করতে পারছেন না। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ মুখ্যমন্ত্রী রক্ষা না করে প্রতিবাদ করছেন। রাস্তায়, হাসপাতাল এবং শহরগুলিতে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।' 

 

বোস বলেন, 'রাজ্যপাল হিসেবে আমি মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। বাংলার সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আমি স্থির করেছি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কোন সরকারই মঞ্চে থাকবো না। সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য আমি তার বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ নেব। রাজ্যপাল হিসেবে আমার ভূমিকা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।' 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ওই বৈঠক লাইভ সম্প্রচার করতে হবে, যদিও তাতে সাড়া দেয়নি মমতার প্রশাসন। ফলে ভেস্তে যায় বৈঠক। রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নের সভা ঘরে প্রায় ২ ঘ্ণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরেও যখন তৃতীয়বারের মত এই বৈঠক ভেস্তে যায়, তখন সংবাদ সম্মেলন করে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল 'মানুষের স্বার্থে আমি নিজে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। কিন্তু আমি চাই মানুষ বিচার পাক। তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।'