পালিয়ে ভারত যাওয়া ৯ আওয়ামী লীগ কর্মী আটক

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৪১ ।
আন্তর্জাতিক
পঠিত হয়েছে ৭১ বার।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ৯ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সেখানে গিয়েছেন এবং এদের প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের কর্মী। আজ শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।

 

 

প্রতিবেদন বলছে, ভারতে প্রবেশ করার পর কেরালা যাওয়ার পথে ওই যুবকদের আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা পুলিশ (আরপিএফ)। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

 

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পর আওয়ামী লীগের অনেকেই ভারতসহ নানা দেশে চলে গেছেন। সীমান্তে আটক হয়েছেন কেউ কেউ। সীমান্তে মারাও গেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা। 

 

 

সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৯ যুবককে নিউ কোচবিহার স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আরপিএফ তাঁদের আটক করে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। 

 

আরপিএফের হাতে আটক হওয়া বাংলাদেশিরা মেঘালয়ের পাহাড়ি ও জঙ্গল এলাকা দিয়ে যাওযার পর মানিকাচর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন। 

 

প্রতিবেদন বলছে, আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, আটক প্রত্যেকেই বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তারা আওয়ামী লীগের সদস্য। আটক ব্যক্তিরা হলেন– আবদুল করিম, শাহিন আলম, সাজিব মণ্ডল, জুয়েল মণ্ডল, মহম্মদ আলি, কামরুল ইসলাম, আব্বাস শেখ, সুমন হোসেন এবং রুকন মণ্ডল।

 

আটক কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর এক দালালের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করেছেন। ভারতের কেরালায় গিয়ে সেখানে রাজমিস্ত্রি কাজ করার ইচ্ছো ছিল তাঁদের। এ জন্য বাংলাদেশের ভেতরে দেড় শ টাকার বিনিময়ে ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করেছিলেন সবাই।

 

 

কামরুলের দাবি, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তারা দীর্ঘ হাঁটা পথ এবং নদী পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। 

 

দালালের মাধ্যমে কীভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি, তা রীতিমতো অবাক করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে। অতি সহজেই বাংলাদেশের ভেতরে আধার কার্ডের মতো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির যে চক্র রয়েছে, সেটাও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের জন্য।