বগুড়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

পাচার করা টাকায় শেখ হাসিনা ও তার প্রভুরা  বাংলাদেশের ভেতরে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১২ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ২৮ বার।

বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার প্রভুরা বাংলাদেশের ভেতরে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া সাড়ে ১৭ লাখ কোটি টাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং তাদের অনুগত ব্যবসায়ীর হাতে আছে। তারা ওই টাকাগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের জন্য খরচ করছে। শেখ হাসিনা কাছাকাছি আছি বলে তার দলের দুর্বৃত্ত নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। যার বহিঃপ্রকাশ আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি। ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত কিন্তু থেমে নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনা এবং তার প্রভুররা আছেন। তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের ভেতর অন্তর্ঘাত সৃষ্টি করার জন্য তারা আছে।

 


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বগুড়ার ৩ শহীদ পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সংগঠন। রুহুল কবির রিজভী ওই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা। যে তিন শহীদ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয় তারা হলেন: রিকশা চালক কমর উদ্দিন বাঙ্গি, সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাকিল হাসান মানিক ও শ্রমিক দল নেতা জিল্লুর রহমান। ওই তিন জনের মধ্যে কলেজ ছাত্র ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। অন্য দু’জন বগুড়ায় শাহাদত বরণ করেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক সংসদ সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবং ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল।

 


বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী শেখ হাসিনাকে হিটলার এবং তার দল আওয়ামী লীগকে হিটলারের নাৎসি পার্টির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, হিটলার গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন। শেখ হাসিনারও গ্যাস চেম্বার ছিল। সেটা হলো আয়নাঘর। যারা নিজের দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারেন। অদৃশ্য করে দেন পায়ের আঙুল তুলে ফেলে, হাতের আঙুল তুলে ফেলে দিনের পর দিন গুম করে রাখে। তারা তো কখনোই রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী হতে পারে না। তারা নিষ্ঠুর শয়তানের আত্মা নিয়ে কাজ করেছে। সুতরাং এই সমস্ত শয়তানের প্রেতাত্মারা যদি আবার মাথা চাড়া দেয় তাদের সঙ্গে তো কথা বলার কোন সুযোগ হতে পারে না।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের কাছে আমাদের একটাই বক্তব্য শুধু ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্মুক্ত থাকবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কথা বলবে এব্যাপারে কোন দ্বিধা নেই। কিন্তু যদি ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটানো হয় তাহলে তো সেখানে আমাদের কিছু কথা আছে।

 


শেখ হাসিনার শাসনামলে মিডিয়া মালিকরা নির্লজ্জ চামচামি করেছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা সাংবাদিক বন্ধু যারা রয়েছেন তারা আন্তরিকতার সাথে আমাদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন আমাদরেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া আপনারা গুম-খুনের খবরগুলোছাপানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মালিকরা কি করেছে? তারা বলেছে আপনি (শেখ হাসিনা) মরে গেলেও আপনার সঙ্গে থাকবো। যখন ছাত্রদের জীবন যাচ্ছে, কচি কচি বাচ্চারা রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে। তখন এদেরকে বলা হচ্ছে রাজাকারের বাচ্চা। এবং এটা ঢালাওভাবে প্রচার করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়। কারণ বেছে বেছে আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকদেরকে মিডিয়ার মালিক করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীর দিন কোন একটি মিডিয়া ১৩/১৪ সালে সারাদিন জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। এগুলো কি আমরা ভুলে গেছি?