বগুড়ায় সমাধি খুঁড়ে নারীর মরদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

বগুড়ার পৌর উত্তরবাহিনী মহাশ্মশানে সমাধি দেওয়া মৃত এক নারীর মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মৃত ওই নারীর নাম গোলাপী সরকার। তিনি শহরের উত্তরসাহা এলাকার লক্ষ্মীতলা মহল্লার সুরেশ সরকারের স্ত্রী। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের ছেলে রঞ্জিত সরকার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা যায়, পৌরশহরের করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত উত্তরবাহিনী মহাশ্মশান। এটি পৌরসভা থেকে শ্মশানটি দেখভাল করা হয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্মশানের ভেতরে ঢুকে একদল দুর্বৃত্ত। পরে সমাধি খুঁড়ে  মৃত গোলাপী সরকারের মাথা কেটে চুরি করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন শুক্রবার সকালে এমন দৃশ্য দেখতে পান নৈশপ্রহরী প্রমোদ সরকার। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারকে জানান তিনি। মূলত এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

নিহতের স্বামী সুরেশ সরকার বলেন, গত ১৬দিন আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্ত্রী গোলাপী সরকার। পরে তাঁর মৃতদেহ মহাশ্মশানে সমাধি দেওয়া হয়। কিন্তু সমাধি খুঁড়ে লাশের মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এভাবে লাশের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হবে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। পরে সমাধি  ফের মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।

ওই মহাশ্মশানটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রমোদ সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, শেরপুর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও নাটোরের সিংড়া উপজেলা অনেকের লাশ এই মহাশ্মশানে সৎকারের জন্য নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শ্মশানের সমাধি থেকে লাশের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি। এই প্রথম ঘটলো বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুয়ানী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।