ওমর সানীর বাসায় ‘ডাকাতি’, খোয়া গেল যেসব জিনিস
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানীর বাসায় চুরি হওয়ার পর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকে তার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও বাসা থেকে হারিয়েছে অনেক মূল্যবান জিনিস। রোববার রাত ১২টার দিকে বাসায় ঢুকে ডাকাতির বিষয়টি টের পান বলে জানান তিনি।
সোমবার গণমাধ্যমকে ওমর সানী বলেন, ‘আমার ছেলের কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি মৌসুমী ব্যবহারকরা একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।’
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের একটি বাড়িতে থাকেন ওমর সানী। জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা স্ত্রী মৌসুমী বছরখানেকের বেশি সময় ধরে মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। ছেলে ফারদীন এহসান স্বাধীন থাকেন দুবাইয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে।’
বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কাকে সন্দেহ করছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওমর সানী বলেন, ‘প্রথমত, আমার ছেলের ব্যবসায় প্রতারণা করা ছেলেটি। দ্বিতীয়ত, আমার গাড়ির সাবেক ড্রাইভার ও বাসার কেয়ারটেকারকে সন্দেহ করছি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে। ইতমধ্যে দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে।’
ভাটারা থানার ওসি মোহাম্মাদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ওমর সানীর অভিযোগের পর আমরা তার বাসা পরিদর্শন করেছি। তিনি ডাকাতির ঘটনা বলছেন- আসলে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। এটাকে চুরি বলা যায়। তবে তার বাসা থেকে বেশকিছু জিনিস দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা দুই জনকে আটক করেছি। বিষয়টি আমাদের তদন্তে রয়েছে।’