‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করা উচিত নয়: ফরহাদ মজহার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩০ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১৬ বার।

জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মনে করেন লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।  কেন তাদের এ নামে রাজনীতি করা উচিত নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা, দলটির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুগান্তর ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলেছেন এই বিশ্লেষক।  

ফরহাদ মজহার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর চিন্তাধারাটা কী? আধুনিক ইসলামী জাতিবাদী চিন্তা এইতো- এটা গড়ে উঠছে জাতিবাদীর সময়; ঠিক আছে।  আর বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে তারা কী চান- তারা কিন্তু গণতন্ত্র চান।  তারা কিন্তু বলছেন জামায়াতে ইসলামী- তারা কিন্তু আমাদের যে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন যেটা বা যে নির্বাচন সংক্রান্ত যে আইন আছে সেখানে তো তারা দাখিল করেছেন তাদের কর্মসূচি এবং গঠনতন্ত্র।  সেখানে তারা কি চাইছেন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র চাইছেন তো? তাহলে আমার তো কি কোন বিরোধ নাই তারা যদি গণতন্ত্রের চেয়ে আমার তো কোন বিরোধ নাই কিন্তু এখানে কিন্তু আছে।  আমি মনে করি, জামায়াতে ইসলামীর জামায়াতে ইসলামী নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত না।  এটা আমাদেরকে এই বাংলাদেশের তার যে জাতিগত সত্তা বাংলাদেশের যে ইতিহাস এটা কিন্তু তার বিরোধী।  কেন কারণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করে নাই।  এই নামে তারা করেনি ফলে আমি জামায়াতে ইসলামী যারা নেতা আছেন তাদের যারা সদস্যরা আছে বিনয়ের সঙ্গে তাদেরকে বলব, অবিলম্বে তারা যেন এই নামটা বদলায়।

এই লেখক বলেন, কারণ এই নামটা আমাদের বাংলাদেশে এটা আসলে এটা বাঙালি জনগোষ্ঠীকে যারা ৭১ সালের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটা কায়েম করেছে- এটা কিন্তু এটার সঙ্গে অসংগতি। ফলে আমি মনে করি যে, এই নামটা বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। তারা রাজনীতি অবশ্যই করবেন এবং তারা একটা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন; তারা তো এর বাইরে তো আমি দেখিনি তারা আমাকে কিছু বলেছে যেটা আমার যেন আপত্তিকর হতে পারে এবং ইসলাম তো আমার সংস্কৃতির অংশ ইসলাম আমার দার্শনিক চিন্তায় ভূমিকা রাখবে আমি যেহেতু একটা একটা মুসলিম পরিবার জন্মগ্রহণ করেছি। 

তিনি বলেন, ইসলাম আমার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম, ফলে ইসলামের দার্শনিক দিকের ইসলামের যে তত্ত্বগত দিক ইসলামের যে ইতিহাস এটা তো আমাকে প্রভাবিত করবে; হ্যাঁ এটা তো আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কৃত্রিমভাবে।