চাকরিতে চাপ-অফিসে হেনস্তা, কর্মচারীর আত্মহত্যা!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ ২১:০৮ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১০৯ বার।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় চাকরিতে মানসিক চাপ সইতে না পেরে এবং অফিসে হেনস্তার শিকার হয়ে শুক্লা দে টিকলি (৩৮) নামের এক নারীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।

 

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের পালপাড়ার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা সিদুল পালের স্ত্রী। তিনি ‘রুপসা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি’ নামের একটি ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই সন্তান রেখে গেছেন তিনি।

 

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার জানান, শনিবার রাতে পুলিশ শুক্লার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ইতোমধ্যে শুক্লার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি গুরত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

শুক্লার স্বামী সিদুল পালের অভিযোগ, ২০২৩ সালের মে মাসে অভিযুক্ত সংস্থাটির কানুনগোপাড়া শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন শুক্লা। ওই সংস্থা তার গ্রাহকদের যেসব ক্ষুদ্রঋণ দিতো শুক্লা সেগুলো আদায় করতেন। এর মধ্যে গত ৫ আগস্টের পর এলাকার লোকজন কিস্তি পরিশোধ করছিল না। কিস্তি আদায়ের জন্য গেলে শুক্লাকে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু সংস্থার কানুনগোপাড়া শাখার ম্যানেজার কাঞ্চন দেবনাথ কিস্তি আদায়ে শুক্লাকে চাপ দিতে থাকেন। এরপর সংস্থাটি শুক্লার বেতন থেকে অনাদায়ী কিস্তির টাকা কেটে নেওয়ার শর্তে বিষয়টি মীমাংসা করে। গত নভেম্বর মাসের ১৫ হাজার টাকা বেতনের মধ্যে ৭ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৬ হাজার টাকা কেটে রাখে সংস্থাটি। এছাড়া পটিয়ার ধলঘাট এলাকায় বদলি করা হয় শুক্লাকে। অফিসে ডেকে নিয়ে হেনস্তাও করা হয়। এসব নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শুক্লা।

 

সিদুলের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে শুক্লা জানান, তিনি নতুন কর্ম এলাকার পথঘাট চেনেন না। এ কারণে তিনি নতুন কর্ম এলাকায় যেতে আগ্রহী ছিলেন না। শনিবার সকালে চাকরিতে যাননি। বিকালে সবার অগোচরে রান্না ঘরে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। 

 

এ ব্যাপারে জানতে সংস্থাটির কানুনগোপাড়া শাখার ম্যানেজার কাঞ্চন দেবনাথকে ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।