২০২৪ সালে দেশে কী পরিমাণ ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, জানাল রিউমর স্ক্যানার
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড ২৯১৯টি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। যেখানে ২০২৩ সালে শনাক্ত হয়েছিল ১৯১৫টি। এক বছরের ব্যবধানে রিউমর স্ক্যানার প্রায় ৫২ শতাংশ হারে ভুল তথ্য বৃদ্ধি পেতে দেখেছে। বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার বুধবার (৮ জানুয়ারি) তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, শুরুটা হয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে। এরপর সময়ের সঙ্গে নানা ইস্যু যেমন ছিল, ছিল নিয়মিত অপতথ্যের প্রবাহও। এরপর এলো ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট। ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। এমন নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ২০২৪ বিদায় নিল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই সময়ে পুরোপুরি মিথ্যা বা ভুয়া ঘটনা সংবলিত ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে ২০২৮টি। এছাড়া বিভ্রান্তিকর রেটিং দেওয়া হয়েছে ৫৩৩টি। বিকৃত রেটিং পেয়েছে ৩০৮টি, অধিকাংশই মিথ্যা এমন রেটিং পেয়েছে তিনটি। এছাড়া, সার্কাজম বা কৌতুক হিসাবে হাস্যরসাÍক ঘটনাকে বাস্তব দাবির প্রেক্ষিতে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক করা হয়েছে ৩১টি। যাচাইয়ের পর অর্ধেক সত্যতা পাওয়া গেছে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দুটি।
ভুয়া তথ্য সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক ও এক্সে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে তুমুল জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্লাটফরম ফেসবুক। মেটার অধীনে থাকা এই মাধ্যমটিতে ২০২৪ সালে ২৩৩০টি ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে। এই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ছয়টির বেশি ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে। ফেসবুকের পর একক প্ল্যাটফরম হিসাবে ৫৬৫টি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ইউটিউবে। পিছিয়ে নেই শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম টিকটকও। ছয় মাসে এখানে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ৫০৯। গেল বছর এক্সে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে।