অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘেরাও, তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৯ ।
প্রতিবেশী জেলা
পঠিত হয়েছে ১৩ বার।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল সদর হাসপাতালের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে হাসপাতাল ঘেরাও করে তত্ত্বাবধায়ক এর কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় হাসপতালে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে বসে সমস্যা নিরসনে হাসপাতাল প্রশাসনেক ১ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন। কিন্তু হাসাপাতল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাঁড়া না পেলে তারা তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। তবে এসময় তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জাহিদ নজরুল অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানান, ৫ আগষ্টের পর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ওষুধ কালবাজারে বিক্রি, হাসাপাতলের চিকিৎসকরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করা, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার-হয়রানিসহ বিভন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ব দূর করার বিষয়ে হাসপাতাল প্রশাসনকে বার বার বলা হয়। কিন্তু তারা এসব বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে হীরক জয়ন্তী পালনে ব্যাস্ত। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতল ঘেরাও করে তত্ত্বাবধায়ক এর কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেন- এই হাসপাতাল অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে রোগীরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পায়না। কর্তব্যরত চিকিসৎকরা হাসাপতালে না এসে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। চিকিৎসাসেবা আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ তা কতটুকু পাচ্ছি?  

 

ফজলে রাব্বী আরো বলেন, হাসপাতাল ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে হসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ কালবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। অথচ চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ পায়না। হাসপাতল চত্বরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ব কারনে রোগীদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এসব বিষয় সমাধানের জন্য আমরা হাসাপতাল প্রশাসনকে বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এসব সমস্য নিরসনে কোন উদ্যোগ না নেওযায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। তাই বাধ্য হয়ে আমরা তত্ত্বাবধায়ক এর কার্যালয়ে তালা দিয়েছে।

 

হাসিব চৌধুরী নামে আরেক শিক্ষার্থীরা বলেন, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য যতক্ষণ হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকবে। এসময় দায়িত্বরত চিকিৎসকদের তাদের চিকিৎসাসেবা চালু রাখার আহবান জানান। পাশাপাশি এসব সমস্যা নিরসন না করে চিকিসৎকরা যদি কোন অন্দোলনে যায় তাহলে সেটি প্রতিহত করার হুশিঁয়ারি দেন তিনি।

 

এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জাহিদ নজরুলের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।