গুলশানে কূটনৈতিক এলাকায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক সেই সময়ে রাজধানীর সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকা গুলশানে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী। রোববার কূটনৈতিক জোনের একটি ভাড়া বাসায় ধর্ষণের এ ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়িচালক সজল হোসেন পলাশকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নেওয়া হয়েছে।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাঈম উদ্দিন সুজন বলেন, শিশুটির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মায়ের সঙ্গে সে গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের একটি বাসায় ভাড়া থাকে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তার বাবা মারা গেছেন। মা অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান।
এসআই বলেন, শিশুর পরিবার আগে যে এলাকায় থাকতেন, সেখানে তাদের পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকত অভিযুক্ত সজল। সেখান থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়ের সূত্রে মাঝে মধ্যে তাদের নতুন বাসায় আসা-যাওয়া করত সজল। এসআই আরও বলেন, রোববার সকালে শিশুটির মা অন্যের বাসায় কাজে ছিলেন। শিশুটি তখন বাসায় একাই ছিল। এ সময় সজল বাসায় এসে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে মা বাসায় এলে তাকে সবকিছু খুলে বলে। এরপর থানায় গিয়ে মামলা করেন শিশুর মা। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সজলকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে নেওয়া হয়েছে।
শিশুর মা বলেন, সজল আমাদের পূর্বপরিচিত। মাঝে মধ্যে বাসায় আসা-যাওয়া করত। রোববার আমি বাসাবাড়িতে কাজে গিয়েছিলাম। আমি বাসায় না থাকার সুযোগে মেয়েকে ফুসলে সে ভবনের চারতলার চিলেকোঠায় নিয়ে ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় আমি বাসায় এলে মেয়ে আমাকে সবকিছু জানায়। পরে গুলশান থানায় গিয়ে মামলা করি।
ঢাকা মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, শিশুটিকে সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা করা হয়েছে। শিশুটি ওসিসিতে ভর্তি থাকতে না চাওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।