র্যাব সেজে নারীদের সর্বনাশ! বগুড়ায় ধরা খেলেন প্রতারক সাগর
স্টাফ রিপোর্টার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়। গলায় র্যাবের কণ্ঠস্বর। একের পর এক নারীর মনে বিশ্বাসের জায়গা করে নিচ্ছিলেন এক যুবক। পরিচয় দিতেন র্যাব সদস্য হিসেবে—গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে! সেই বিশ্বাসে নারীরা কখনও ভিডিও কলে, কখনও সরাসরি—নিজেকে উন্মোচন করতেন তার সামনে। আর তখনই শুরু হতো ভয়ংকর ব্ল্যাকমেইলের খেলা। শেষ পর্যন্ত নিজেই ধরা পড়লেন র্যাবের ফাঁদে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার একটি বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হন শিহাব হোসেন সাগর (২১)। বগুড়ার সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের দারিয়াল হাজরাদিঘী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
ভয়ঙ্কর তথ্য:
সাগরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও ডিজিটাল ডিভাইস—যার মধ্যে রয়েছে ২টি স্মার্টফোন, ২টি বাটন ফোন, ৩টি সিম, মেমোরি কার্ড, একটি সিপিইউ, হার্ড ডিক্স, এসএসডি কার্ড, রামদা, চাপাতি, ছোড়া এবং বার্মিজ চাকুসহ আরও কিছু অস্ত্রসামগ্রী।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, সাগর মূলত নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন ‘র্যাব পরিচয়’ দিয়ে। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করিয়ে নিতেন, তুলে নিতেন ভিডিও। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ব্ল্যাকমেইল করতেন।
একজন প্রতারক শুধু নারী নয়, র্যাবের মতো একটি গর্বিত বাহিনীর নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকেও ঠকাচ্ছিল। র্যাব-১২ জানায়, এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
গ্রেপ্তারের পর শিহাব হোসেন সাগরকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়া’র কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ বলেন, “সাইবার অপরাধ এবং সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংসকারী এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সাগরের মতো প্রতারকরা আইনের ফাঁক গলে বের হতে পারবে না।”