বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যা করেছেন একজন শিক্ষার্থী। রোববার সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সিংদাহ গ্রামের নিজ বাড়িসংলগ্ন ডোবা থেকে শিক্ষার্থীর পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
মৃত শিক্ষার্থী চাপড়া ইউনিয়নের সিংদাহ গ্রামের সোহেল রানার ছেলে শাহরিয়ার অন্নব রিউশা (১৭)।
মৃতের স্বজনরা জানান, অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী রিউশা কুষ্টিয়া এডুকেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পাশ করে ঢাকার রামপুরা এলাকায় খালার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে ঢাকা কলেজ থেকে ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত রিউশা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষা দেয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২৭ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়। তবে একটিতেও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে রিউশা। শনিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে রিউশাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রোববার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির অদূরে ডোবা থেকে রিউশার পোড়া বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের দাবি, রিউশা ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং সবার অগোচরে নিজের গায়ে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান শেখ জানান, আগুনে পোড়া এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি ভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ায় গায়ে পেট্রল দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই শিক্ষার্থী। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।