কবি সম্পাদক সাংবাদিক আন্ওয়ার আহমদ স্মরণসভা ও স্মৃতিপদক প্রদান
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা কবি সম্পাদক সাংবাদিক আনওয়ার আহমদ এর জন্মদিন উপলক্ষে বগুড়া লেখক চক্র ও বগুড়া লেখক চক্র পাঠাগার এর আয়োজনে স্মরণসভা, কবিতা পাঠ ও স্মৃতিপদক প্রদান অনুষ্ঠান শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউটিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় সভাপতিত্ত্ব করেন বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা এ্যাড. পলাশ খন্দকার। প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা ষাট দশকের অন্যতম কবি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি কবি ইসলাম ইসলাম রফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও বগুড়া ইয়ূথ কয়্যারের সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু, কবিপুত্র নাজিম আনওয়ার রুপম, কবি সম্পাদক প্রত্যয় হামিদ ও কবি সম্পাদক শফিক আজিজ। কবি এইচ আলিম ও কবি সিকতা কাজলের সঞ্চালনায় কবির জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও একতারা সম্পাদক মতিয়ার রহমান, কবি হাবীবুল্লাহ জুয়েল, কবি অরিন্দম মাহমুদ ও অনন্য রাসেল।
আনওয়ার আহমদ এর জীবনী পাঠ করেন কবি সিকতা কাজল। কবিতা পাঠ করেন কবি মনসুর রহমান তানসেন, কবি শাকিবুল শাকিল, বিশ্বজিৎ দাশ, মোমিন ইসলাম, দীনেশ চন্দ্র শীল, সাহানা আক্তার ও পিংকু আহমেদ।
স্মরণসভায় লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার জন্য জামালপুর থেকে প্রকাশিত ‘ময়ূখ’ সম্পাদক ভোলা দেবনাথকে ‘কবি সম্পাদক আনওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক ২০২৪’ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি তার হাতে এই স্মৃতি পদক তুলে দেন এবং সভাপতি এ্যাড. পলাশ খন্দকার উত্তরীয় পরিয়ে দেন । লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার জন্য ২০১০ সাল থেকে কবি আনওয়ার আহমদ স্মরণে বগুড়া লেখক চক্র এই স্মৃতিপদক প্রদান করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, কবি আনওয়ার আহমদ এর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৩ মার্চ বগুড়ায় এবং ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ঢাকায় মৃত্যবরণ করেন। তার প্রকাশিত ১৫টি গ্রন্থের মধ্যে রিলকের গোলাপ, মানবসম্মত বিরোধ, নির্মাণে আছি, হঠাৎ চলে যাব, নীল কষ্টের ডাক, শেষ সম্বল শেষ দান, অটল থাকা ধীর সন্ন্যাস, উড়ো খই গোবিন্দ নমঃ, উনষাটের পদাবলী, ষাটের প্রান্ত ছুঁয়ে উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৭০ সালে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার মাধ্যমে। এর আগে তিনি ১৯৬৩ সালে ‘সাহিত্যের চিঠি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে বের করেন সিনে পত্রিকা ‘রূপম’, যা পরে সাহিত্য পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৬৬ সাল থেকে ‘কিছুধ্বনি’ নামে কবিতা বিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ করেন, যা ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ‘সাহিত্য’ ‘সাহিত্য সাময়িকী’ ও ‘মিউস’ নামে পত্রিকা সম্পাদনা করেন।