দুই মাসে শতাধিক ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছে এপিবিএন বগুড়ার সাইবার ক্রাইম সেল

গেল দুই মাসে শতাধিক ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছে ৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাইবার ক্রাইম সেল এর সদস্যরা। একইসাথে বিকাশ ও নগদে প্রতারনার শিকার ব্যক্তিদের টাকা উদ্ধার, ফেসবুক ও হোয়াটসএ্যাপে হ্যাকিং আইডি পূনরুদ্ধার করেছে তারা। রবিবার বেলা ১১ টায় ৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো: শহীদ আবু সরোয়ার উৃদ্ধারকৃত মুঠোফোন ও টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মধুসুদন রায়, সহকারী পুলিশ সুপার একেএম খালেকুজ্জামান পিপিএম, নাছির উদ্দিন, ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, আবুল কালাম আজাদসহ সাইবার ক্রাইম সেল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গেল মে মাসে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫০টি ফোন উদ্ধার করেছেন সাইবার ক্রাইম সেল এর সদস্যরা। এছাড়া নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনামূলক ৪টি ঘটনায় ৫৮ হাজার ৪৮০ টাকা উদ্ধার, নিখোঁজ ৫ জন ব্যক্তি উদ্ধার, হ্যাক করা ফেসবুক ও হোয়াটসএ্যাপ আইডি পূনরুদ্ধার করেছেন। এর আগে এপ্রিল মাসে ৫৬ টি মোবাইল উদ্ধারসহ নগদ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

মুঠোফোন হাতে আবু তালহা আরাফাত জানান, ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার ফোন হারিয়ে গিয়েছিল, তারপর তিনি জিডি করে বগুড়ার এপিবিএন এর মাধ্যমে ফোন ফিরে পেয়েছেন। তিনি কখনও ভাবেন নি হারানো ফোন ফিরে পাবেন। তিনি ফোন পেয়ে আনন্দিত।

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী এলাকার আবু হানিফ মৃধা বিকাশে ৩২ হাজার টাকা ভূলবশত পাঠিয়েছিলেন, পরে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে, সেই টাকা এপিবিএন সাইবার ক্রাইম সেল সদস্যরা উদ্ধার করে দিয়েছেন। তিনি টাকা পেয়ে আবেগেআপ্লুত।

৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো: শহীদ আবু সরোয়ার জানান, সাইবার ক্রাইম সেল উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ছিনতাইকৃত, হারানো ফোন উদ্ধারসহ বিভিন্ন সেবামুলক কাজ করে আসছে। তাদের এমন কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। কারো ফোন হারিয়ে গেলে অথবা বিকাশ নগদে প্রতারনার শিকার হলে নিকটস্থ থানায় জিডি করাসহ সাইবার ক্রাইম সেলকে অবগত করার জন্য তিনি আহবান জানান।