বগুড়ায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের অনশন ভাঙালেন বিএনপি নেতারা

বগুড়ায় সদ্য ঘোষিত জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে পানি পান করে তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনশনরত নেতাকর্মীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শহীদ খোকন পার্কের শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেন সদ্য ঘোষিত কমিটিতে পদ না পাওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও তাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণও জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, একই দিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে ঘোষিত হয় ১৬১ সদস্যের বগুড়া জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ৯৩ সদস্যের শহর ছাত্রদল কমিটি। এছাড়া জেলার ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আংশিক কমিটিও প্রকাশ করা হয়।

জেলা কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলে পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাবেক নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগপন্থীদের সন্তানদের স্থান দেওয়া হয়েছে, যা আদর্শবিরোধী।

পদবঞ্চিত নেতা নাসিরুদ্দিন মামুন বলেন, “বহু বছর ধরে ছাত্রদলের রাজনীতি করে এসেছি। অথচ এবার আমাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। কেন আমাদের বাদ দেওয়া হলো, সে ব্যাখা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব বলেছিলাম।”

আরেক পদবঞ্চিত নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, “যারা বিএনপির রাজনীতি করে আসছে, তারাই আজ বঞ্চিত। আমাদের কাছে এ বিষয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান। তিনি বলেন, “অনশনে বসা নেতারা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না। তারা ছাত্রদলে থাকবেন, না যুবদলে যাবেন—সেই বিষয়েও তারা পরিষ্কার কোনো অবস্থান নেননি।”