থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
থাইল্যান্ডের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাও, যিনি এখন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতেই, একটি নৈতিকতা লঙ্ঘনের মামলার প্রেক্ষিতে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। তবে একই দিন দেশটির রাজা মহা ভাজিরালংকর্ণ নতুন মন্ত্রিসভাকে অনুমোদন দেন, যেখানে পেতংতার্ন সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে স্থান পান।
আজ সকালেই, থাইল্যান্ডের সরকার হাউজে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে হাসিমুখে উপস্থিত হন পেতংতার্ন। তবে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
প্রাথমিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত। তবে পরে বিশেষ মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফুমথাম বেচায়াচাই। তিনি আজই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পেতংতার্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সঙ্গে একটি ফোনালাপে থাইল্যান্ডের অবস্থান দুর্বল করে দিয়েছেন। ওই কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদ শুরু হয়। সমালোচকরা বলেন, তিনি হুন সেনকে খুশি করতে গিয়ে দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।
সাংবিধানিক আদালত সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পেতংতার্নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তযোগ্য এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হচ্ছে। আদালত তাকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রমাণাদি জমা দিতে বলেছে। তবে কবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় আসবে, তা এখনো অনিশ্চিত।