লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স
স্টাফ রিপোর্টার
আধুনিকায়নের চার বছর পর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আর চালু থাকবে না জনপ্রিয় এ প্রেক্ষাগৃহ।
মধুবন সিনেপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পুণ্ড্রকথাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মধুবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখছি। মাসের পর মাস লোকসান খাচ্ছি। আজই শেষ দিন। এই সপ্তাহে “নন্দিনী” ছবিটি চালাচ্ছিলাম, কিন্তু দর্শক পাইনি। ছবি চালানোর খরচই ওঠে না।’
তিনি আরও বলেন, 'সবশেষে তান্ডবের পর আর কোন ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি৷ অনেক সিনেমা হলে এসেছে কিন্তু কোন দর্শক সাড়া ফেলতে পারেনি। আমরা আর লোকসানে সিনেপ্লেক্সে চালাতে পারছি না৷ আমাদের বিদ্যুৎ বিল বাকি, কর্মচারীদের বেতন নিজেদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। এভাবে আর চালানো সম্ভব না।'
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না। বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসতো। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলতো। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসান আর সম্ভব নয়।’
মধুবন সিনেপ্লেক্সে আসন সংখ্যা ছিল ৩৩৬টি। আধুনিকায়নের পর এ হলেই রমরমা ব্যবসা করেছিল জনপ্রিয় সিনেমা ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’ ও ‘বরবাদ’। পরিবার নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শকদের জন্য সর্বশেষ ‘বরবাদ’ ছবির একাধিক মিডনাইট শোও চালানো হয়েছিল এখানে।
১৯৭৪ সালে শাবানা-ওয়াসিম অভিনীত ইবনে মিজান পরিচালিত ‘ডাকু মনসুর’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে মধুবন। তখন হলটির ধারণক্ষমতা ছিল ১০০০। মধুবনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট এ এম ইউনুস। বাবার সঙ্গে সিনেমা হলের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন ছেলে আর এম ইউনুস রুবেল। তিনিই ‘মধুবন’ হলটিকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। পরে ২০২১ সালে ১৫ অক্টোবর নতুন করে রুপান্তরের পর প্রথম শো চালু করা হয়৷