বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৩ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ১৬২ বার।

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে নিজ মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে বাবা বস্তা সেলাইয়ের শ্রমিক জিল্লুর রহমানকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জিল্লুর উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের লকু সিভিল পশ্চিম কলোনীর মহুবর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর আদালতে এবং ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ বছর আগে জিল্লুরের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ভিকটিমের মাকে ২য় বিয়ে করেন। বিয়ের পরের বছর তাদের সংসারে জন্ম নেয় ওই কিশোরী (১৪)। গত রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কিশোরীকে নিয়ে তার মা পৌর শহরের মালশন গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। পরের দিন সোমবার বিকাল ৪টায় মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি একটি এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য নওগাঁ জেলা শহরে যান। 

ওই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় কিশোরীর মা বাড়িতে ফিরে তার স্বামী ও মেয়েকে চুপচাপ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি মেয়ের মন খারাপের বিষয় নিয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাস করার পর জানতে পারেন- তার কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে শয়ন ঘরে খাটের উপর শোয়াইয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য বাবাকে বাঁধা দিলে তিনি চরথাপ্পর ও মৃত্যুর ভয়ভীতি, হুমকি ধমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। সেই সাথে বাইরের কাউকে না বলার জন্য হত্যার হুমকি দেয়। 

এসব বিষয় জানার পর ওই দিন রাত ১১ টার দিকে ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরীর মা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপর আদমদীঘি থানা ও সান্তাহার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত জিল্লুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।