কাহালুর পিড়াপাট সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ৬ শ্রেণির পাঠদান
মুনসুর রহমান তানসেন কাহালু (বগুড়া)
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ কয়েক বছরের একটি পুরাতুন ভবনের মাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পিড়াপিড়িভাবে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণিকক্ষ কম থাকায় পাঠদানে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। এছাড়াও দীর্ঘ কয়েক বছর আগের বিদ্যালয়ের ভবনটি’র অবস্থা খুবই নাজুক। মাঝেমধ্যেই শ্রেণিকক্ষের ছাদের ও ওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে। প্লাস্টার খসে পড়ার কারণে অনেক সময় এই বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে পড়াশুনা করছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তথ্যমতে, ১৯৮৮ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আধাপাকা শ্রেণিকক্ষে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। শিক্ষকদের আন্তরিকতায় এখানে স্থানীয় অবহেলিত মানুষের সন্তানদের শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ সৃষ্টি হয়। শিক্ষকদের আন্তরিকতা দেখে পিড়াপাট, বাঁকাদিঘী ও বাগইল গ্রামের অনেকেই তাদের শিশু সন্তানদের এই স্কুলে পড়তে দেন।
সূত্রমতে, শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো অবদান রাখায় ১৯৯৪ সালে এই বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। একতলা বিশিষ্ট এই ভবনের চারটি কক্ষের মধ্যে ৩ টি শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানে এই একটি ভবন ছাড়া এই বিদ্যালয়ের আর কোনো ভবন নেই। বর্তমানে এই একটি মাত্র ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। ভবনের ছাদ ও ওয়ালের প্লাস্টার মাঝেমধ্যেই খসে পড়ে। এই ভবনেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
বিগত সরকারের আমলে এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলেও বিদ্যালয়ের অব কাঠামোর কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। একেবারে পল্লী এলাকায় অবস্থিত এই বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখলেও এখনো নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করা হয়। যারফলে শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন মাখিক ভালো শ্রেণিকক্ষ না থাকায় স্থানীয় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে ৫ জন শিক্ষক রয়েছে। এখানে মূলত প্রধান শিক্ষকের পদই শুন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষক মোঃ মোফাসসের আলী।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাসসের আলী জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসের অনেক আগেই আবেদন করা হলেও এখনো আমরা কোনো সারা পাইনি।
কাহালু উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, পিড়াপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। নতুন ভবন নির্মাণের চাহিদা তালিকায় এই বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হয়েছে।