জামিন পেলেন হিরো আলম
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান উভয় পক্ষের শুনানি শেষে শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় হিরো আলমকে আদালতের ৯ তলার এজলাসে নেওয়া হয়। এ সময় হিরো আলমের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।
গত ১২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসা করার জন্য হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছে, সেই সময়ে হিরো আলমসহ ১০-১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
পরে তারা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করে। এই হামলায় বাদীর শরীরে জখম সৃষ্টি হয়। এছাড়াও, এসময় তার গলায় থাকা ‘দেড় ভরি’ ওজনের স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।