বিএনপি নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া গুজবে বিব্রত পরিবার
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিএনপির এক নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে পরিবার। ৪ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে। মৃত ফরিদুল আলম (৫০) কালারমারছড়া ইউনিয়নের মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে এবং দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
তার মৃত্যুর পরে একটি পক্ষ প্রচার করে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদের নাম শুনেই ঘরে থাকা অসুস্থ ফরিদুল আলম হঠাৎ উল্লাসে চিৎকার দেনন। ঠিক সেই মুহূর্তেই তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে পরিবার।
এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে গুজব বলে দাবি করেছে ফরিদের পরিবার। পরিবার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং কয়েকবার স্ট্রোক করেছেন। টানা ১৫ দিন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সপ্তাহে তাকে কালারমারছড়ার নোনাছড়িস্থ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ফরিদের ভাতিজা মোহাম্মদ নিশান উদ্দিন জানান, মনোনয়ন পাওয়ার খবরে আমার চাচা খুশিতে স্ট্রোক করে মারা গেছেন এ খবর মোটেও সত্য নয়। উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কোন পক্ষ ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এরকম গুজব ছড়িয়েছে বলে তার ধারণা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফরিদুল আলমের অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল জানিয়ে নিশান বলেন, চাচাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার সব প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে আমরা তাকে পাশের বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।