সারাদেশে ক্ষোভের অনল: রাতভর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, আগুন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:১৪ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে বার।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে রাতভর সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। চট্টগ্রামে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সাবেক দুই মন্ত্রীর বাড়ি। রাজশাহীতে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের অনল।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গভীর রাতে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। মিছিল করে এনসিপি, ছাত্রদল, শিবিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কর্মীরা। তাদের দাবি, শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

 

 

চট্টগ্রামে হামলা হয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়িতে। বান্দরবানে আগুন দেয়া হয় সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিংয়ের বাসভবনে।

 

রাতে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সিলেট। রাতে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাদি হত্যার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

 

বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে রংপুরেও। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে মিডিয়া মোড়, পার্ক মোড় ও শহীদ আবু সাঈদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভকারীরা।

 

লালবাগ এলাকা থেকে বিক্ষোভে অংশ নেয় কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে বারোটা অব্দি শাপলা চত্বর অবেরোধ করে রাখা হয়। ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় জাতীয় পার্টির প্রতীক। এছাড়া গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে টার্মিনাল থেকে ছাড়তে পারেনি দূরপাল্লার কোনো বাস।

 

খুলনা শহরের শিববাড়ি মোড় অবরোধ করেও বিক্ষোভ হয়। মিছিলটি শিববাড়ী মোড় থেকে কেডিএ এভিনিউ ঘুরে ময়লাপোতার মোড়ে যায়। এসময়, শিববাড়ি মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা।

 

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে ছাত্রজনতা। নগরীর চৌমাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নেয় তারা। এসময় তারা হাদির খুনিদের বিচার দাবিতে স্লোগান দেয়।

 

মৃত্যুর খবরের পর হাদির নিজ জেলা ঝালকাঠিতে ছড়িয়ে পড়ে শোকের মাতম। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় ঢাকা–ঝালকাঠি মহাসড়ক অবরোধ করে তার জুলাই আন্দোলনকারীরা। এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং বিচারের দাবি জানায়।

 

এছাড়া কুষ্টিয়া, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, জয়পুরহাট, জামালপুর, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করে ইনকিলাব মঞ্চসহ অন্যান্য সংগঠনের কর্মীরা।