বগুড়ায় গৃহবধূ চন্দনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গৃহবধূ চন্দনা রানীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকার ঋষিপাড়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম কাজল চন্দ্র (২৫)। তিনি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজবলাইল এলাকার জুরেন চন্দ্রের ছেলে। রবিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিএন ওয়াহিদুজ্জামান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত চন্দনা রানী প্রায় ছয় বছর আগে একই এলাকার নয়ন চন্দ্রের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে বসবাসের সময় পারিবারিক জটিলতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে এবং চন্দনা বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে কাজল চন্দ্র বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চন্দনাকে বিভিন্ন সময় নিজের বাড়ি ও ঢাকায় নিয়ে যান। ঢাকায় প্রায় চার মাস তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন। গত ১৪ জুন চন্দনা কাজলের বাড়িতে গেলে সেখানে তাঁকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন অবস্থায় সিএনজি যোগে তাঁকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা চন্দনাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের কাকা বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-১২ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, মামলার পলাতক আসামি কাজল চন্দ্র সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। পরে র্যাব-১২ ও র্যাব-৪-এর যৌথ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিএন ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সারিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।