স্ত্রীকে হত্যা করে শ্বশুরকে ফোন, স্বামী গ্রেপ্তার
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
গাজীপুরে যৌতুকের দাবিতে মাস্তুরা আক্তার সুমা (২৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর শ্বশুরকে ফোন করে পালিয়ে যায়। ঘটনার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাব-১ ও র্যাব-১৩ এর একটি যৌথ অভিযানে কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
২৬ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিব হাসান ।
তিনি জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকারী জালাল হোসেন ও তার স্ত্রী মাস্তুরা আক্তার ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বসবাস করতেন। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে জালাল তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর জালাল নিথর দেহটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। পলায়নরত অবস্থায় সে তার শ্বশুড়কে ফোন করে জানায়, আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি-এসে লাশ নিয়ে যান। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে জিএমপির বাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (মামলা নং-২৯) দায়ের করেন।
বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানাধীন নাজিমখান ইউপির রামকৃষ্ণ মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১ কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধ দমনে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।