বগুড়ায় ভালবাসার গোলাপের দাম ৪০ টাকা!

পহেলা ফাল্গুন ও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বগুড়ায় ৬০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। দিবসটিকে ঘিরে শহরের ফুলপট্টিতে বেড়েছে ব্যস্ততা। তবে গতবারের তুলনায় দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্রেতাদের সাড়া কেমন পাবে এ নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছেন ফুল বিক্রেতারা।

বগুড়া শহরে ১৭টি স্থায়ী ফুলের দোকান রয়েছে। এর পাশাপাশি ভালবাসা দিবস ঘিরে কিছু ব্যবসায়ী অস্থায়ীভাবে রাস্তার আশে-পাশে দোকান বসিয়েছে।  দোকানগুলো সাজানো হচ্ছে বাহারী সব ফুল দিয়ে। এই সব ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গেলোডিলাক্স, জার্বেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জীবসি। তবে ভালোবাসা দিবসে সব চেয়ে বেশি চাহিদা থাকে গোলাপের।

বগুড়ায় ফুল মার্কেটে সবচেয়ে বেশি ফুল আসে যশোরের গদখালি, কালীগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও ঢাকা থেকে। এবার বগুড়া ফুল মার্কেটে প্রতিটি দেশি গোলাপ ৩০ টাকা, চায়না গোলাপ ৫০-৬০ টাকা, মেরিন্ডি গোলাপ ৪০-৫০ টাকা, থাই গোলাপ ৮০-১৫০ টাকা, জারবেরা ৩০-৩৫ টাকা, গ্লাডিওলাস ৪০-৫০ টাকা, রজনীগন্ধা ১৫-২০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১০ টাকা, গাঁদা ১০০ ফুল ১০০ টাকা, জিপসি ফুলের মুঠো ৫০-৮০ টাকা।

ফুল দিয়ে তৈরি মেয়েদের মাথার ক্রাউন প্রতিটি ১০০-২৫০ টাকা, হাত তোড়া আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া পছন্দমতো তৈরি ফুলের তোড়া ও ক্রাউন পাওয়া যাচ্ছে ২০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায়।

ফুলের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে অনামিকা ফুল ঘরের  রেজাউল করিম বলেন, বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস মানেই গোলাপ। সবাই চায়না রেড গোলাপ বেশি পছন্দ করে। এছাড়াও দেশি লাল ও সাদা গোলাপের চাহিদাও আছে। কেউ কেউ আবার অন্যান্য ফুল যেমন, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গেলোডিলাক্স দিয়ে তোড়াও তৈরি করে নেয়।

মিনি ফুল ঘরের সোহেল বলেন, যশোরের পাইকারী ফুল আনতে অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। সেখানে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর ফুলের দাম বেশি।

ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ী মালেক জানান, সবচেয়ে বেশি ফুল কিনতে আসে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আবার ফুল কম বিক্রির শঙ্কা রয়েছে।

বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে ফুল কিনতে আসা রেশমী ও নিলিমা জানালেন, মাথায় পরার জন্য এবার নিজেই ফুল কিনে বানিয়ে নেবেন রিং। 

ফুল কিনতে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, এবছর ফুলের দাম অনেক বেশি প্রতি পিস গোলাপ ৩০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। দাম বেশি হলেও কি করব নিতে তো হবেই।

বগুড়া ফুল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ দাস অমিত বলেন, 'ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় ৪০ লাখ টাকার ফুল আমদানি হয়েছে। আমাদের ৬০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা রয়েছে। আগামীকাল ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে । আশা করছি আমরা এবার গতবারের চেয়ে বেশি লাভ করতে পারবো।'