রাণীনগরে বুকভরা আশা নিয়ে ইরি-বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) :
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ১৮:৪৭ ।
প্রতিবেশী জেলা
পঠিত হয়েছে বার।

কর্মক্ষেত্রে চাকরিজীবীদের ছুটি থাকলেও কৃষকদের কোনো ছুটি নেই। একটার পর একটা কৃষিকাজ লেগেই থাকে। আর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় কৃষকদের। আমন ধান কাটার পরে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন কৃষি আবাদ। শাক-সবজি, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই আবার শুরু হয়ে যায় ইরি-বোরো ধান রোপণের সময়। এখন ইরি-বোরো ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নওগাঁর রাণীনগরের কৃষকরা।

সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ইরি-বোরোর জমি তৈরী ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউবা ইনি-বোরো ধানের চারা রোপন করছেন। যারা আগাম চারা রোপন করেছেন তারা সেই জমিতে সেচ দিচ্ছেন। গত ইরি-বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সাথে বাজারে ধানের ভাল দাম না পাওয়ায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। সকল হতাশাকে দূরে ঠেলে দিয়ে আবারও বুকভরা আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকেরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ইরি-বোরো ধান রোপন করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধান বাম্পার ফলনের আশা কৃষকরা।

রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের করজগ্রামের  কৃষক কাজী সাভাওয়াৎ হোসেন জানান- আমন ঘরে তোলার পর প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে এ চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। ইরি-বোরো চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ। এ দুই মাস বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণে সময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা তাদের দমাতে পারে না। তাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। তিনি এবার ২০ বিঘা ইরি-বোরো ধান রোপন করেছেন এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। একই গ্রামের কৃষক এরশাদ ৫ বিঘা ও ভুলু  ৩ বিঘা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে জমিতে ইরি- বোরো ধান চাষ করছেন। ফলন ভালো হলে তারা লাভবান হবেন বলে মত প্রকাশ করেন।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর রাণীনগর উপজেলায় বোরো ধানের ফলন ভালো হবে আমরা আশাবাদী। এ বছরে রাণীনগর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।