কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে বেকার হতে পারেন ৩০ কোটি মানুষ

পুণ্ডড়কথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১২:২২ ।
আন্তর্জাতিক
পঠিত হয়েছে বার।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ অর্থ লগ্নিকারী ব্যাংক গোল্ডম্যান সাচ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গোল্ডম্যান সাচ জানিয়েছে, বিশ্বে যেসব পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সেটির বার্ষিক মূল্য আরও প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া মানুষ যেসব পণ্য তৈরি করে হুবহু সেই একই পণ্য তৈরি করতে পারে উৎপাদনক্ষম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটি বিশ্বের জন্য বড় অগ্রগতি।

প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, এআইয়ের প্রভাব বিভিন্ন খাতে ভিন্ন হবে। যেমন প্রশাসনিক কাজের ৪৬ শতাংশ, আইন পেশায় ৪৪ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে চলে আসতে পারে। কিন্তু নির্মাণ খাতে ৬ শতাংশ এবং রক্ষণাবেক্ষণ খাতে মাত্র ৪ শতাংশ কাজ এআইয়ের দখলে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্য সরকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ওপর বিনিয়োগের ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে আগ্রহী। দেশটির সরকারের মতে, এআই পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অগ্রগতি আনবে।

তথ্যমন্ত্রী মিশেলে ডোনেলান বলেন, আমরা যুক্তরাজ্যে যেভাবে কাজ করি সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পরিপূরক। এআই কাজের ক্ষতি করছে না বরং আমাদের কাজকে সহজ করছে।

অক্সফোর্ড মার্টিন স্কুলের ফিউচার অব-ওয়ার্ক পরিচালক কার্ল বেনেডিক্ট বলেন, এটি জানার কোনো উপায় নেই উৎপাদনশীল আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের কবলে কতগুলো চাকরি যাবে।

তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি কী করেছে? মোটামুটি লেখার মান আছে এমন আরও বেশি মানুষকে প্রবন্ধ এবং আর্টিকেল লেখার সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে সাংবাদিকরা আরও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়বে, যেটির কারণে বেতন কমে যাবে। উদাহরণ স্বরূপ- জিপিএস প্রযুক্তির কারণে লন্ডনের সব রাস্তা চেনার বিষয়টির মূল্য কমে গিয়েছে। এর ফলে যারা আগে উবার চালাতো তাদের বড় একটি অংশের বেতন কমে গেছে। আগামী কয়েক বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সও উদ্ভাবনী কাজগুলোর ওপর একই প্রভাব ফেলবে।