ঢাবিতে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৮ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ড্রাগ অ্যাডিকশন অ্যান্ড সুসাইড প্রিভেনশন, রোল অব মেন্টাল ওয়েলবিং ইন ওইমেন এমপাওয়ারমেন্ট শীর্ষক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। 

 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করেন। 

 

তিনি বক্তব্যেতে বলেন, সমাজে চলতে গেলে অনেক মানুষ  অনেক কথা বলেন। সবকিছুকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কোন ঘটনাতে রিয়্যাক্ট না করে যদি রেসপন্স করা হয় তখন সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। চাইলে এই পরিবর্তনগুলো নিজেদের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব। 

 

অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিভাবান শিক্ষার্থী যখন আত্মহত্যা করে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বলে, তাদের মনের কথা শুনার কেউ নেই। তাদের কথা কেউ শুনছে না। সুতরাং আমাদের তাদের কথা শুনতে হবে। ড্রাগ এডিকশন বা আত্মহত্যা এগুলো কারও একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এরজন্য পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। 

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশ মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী। সুতরাং নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী বা সাফল্যমন্ডিত জনগোষ্ঠী কখনোই তৈরি হবে না। কারণ একটি দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে সুস্থ না রাখলে সে দেশ কখনোই এগিয়ে যেতে পারবেনা। এটি চরম একটি সত্য কথা।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শামসুল আলম দেশের বিশেষ করে নারীদের কল্যানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজের উন্নয়ন নিজেকেই করতে হবে। পরিস্থিতি যাই হোক সেটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। সবাইকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। একবার লস্ট মানে কিন্ত লস্ট ফরেবার। প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

 

প্যানেল ডিসকাশনে পর্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. নাইমা নিগার এবং প্যানেল স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব উম্মে ইশরাত, কোকাকোলার মার্কেটিং প্রধান রাজবীন আবির এবং উইমেন ইন ডিজিটালের ফাউন্ডার ও সিইও আছিয়া নীলা।

 

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম. ফখরুল আমিন ফরহাদ। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির হেড অফ কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।

 

সংগঠনটির হেড অফ এডমিনিস্ট্রেশন খাদিজ আকতার উর্মী এবং শেহেরজান হকের সঞ্চালনায় সিম্পোজিয়ামে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেন ভূইয়া। সিম্পোজিয়ামে ফুড পার্টনার হিসেবে ছিলো কুপার্স।