বগুড়ায় তারুণ্যের মেলা 

উন্নয়নে অংশগ্রহণ এবং নীতিনির্ধারন প্রক্রিয়ায় মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তরুণদের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৬ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১৬ বার।

বাংলাদেশের উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার বগুড়ায় অনুষ্ঠিত তারুণ্যের মেলায় ওই দাবি জানানো হয়। বেসরকারি সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল শহরের একটি রিসোর্টে দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে। 

 


ইউএসএইড-এর অর্থায়ানে স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত তারুণ্যের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমিও জিততে চাই’। এতে বগুড়ার দু’টি সরকারি এবং একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন যুব সংগঠনের শতাধিক তরুণ-তরুণী অংশ নেন। মেলায় নাগরিক নানা সমস্যা নিয়ে বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ভিডিও বার্তা তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেলার শুরুতেই নাগরিক সমস্যা তুলে বগুড়া কলেজ থিয়েটারের আয়োজনে ‘জুলেখার জীবন’ নামে একটি মঞ্চ নাটক পরিবেশন করা হয়। কলেজ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় সরকারি আজিজুল হক কলেজের পুণ্ড্র ডিবেটিং ক্লাব। সেরা বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা আক্তার সুমি।

 

 

অংশগ্রহণকারীরা জানান, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামতকে সেভাবে গুরুত্ব দেয় না বলেই বেশিরভাগ তরুণ রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন। তারা উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সুবিধা সহজ করার দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে এমনিতেই চাকরির সুযোগ কম। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য অনেকে উদ্যোক্তা হতে চান। কিন্তু সেক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সেগুলো দূর করা প্রয়োজন। তারা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত, সড়কে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে আরো সচেতনতা বৃদ্ধিরও দাবি জানান।

 


মেলায় আলোচনা পর্বে অংশ নেন বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেফাজত আরা মিরা এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি লাভলী রহমান, জয়পুরহাটের মাাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি খ ম আব্দুর রহমান রনি এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর রাজশাহী বিভাগের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আসমা আক্তার।